স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পুলিশ, র্যাব এবং আনসারের পোশাক পরিবর্তন হচ্ছে। এ ছাড়া দেশে এখনো ৩৩ হাজার ৬৪৮ জন অবৈধ বিদেশি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ ছাড়া বিজিবিকে অত্যাধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গতকাল আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলেন তিনি। জানা গেছে, বৈঠকে আয়রন, রয়েল ব্লু, ডিপখাকি, ডিপব্লু, জলপাইসহ কয়েকটি রঙের পোশাকের মডেল উপস্থাপন করা হয়। সেখান থেকে বৈঠকে তিন বাহিনীর জন্য আলাদা আলাদা রঙের পোশাক চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুলিশের পোশাকের রং হচ্ছে আয়রন। র্যাবের পোশাক হচ্ছে জলপাই বা অলিভ রঙের এবং আনসারের পোশাকের রং হচ্ছে ‘গোল্ডেন হুইট’। উপদেষ্টা বলেন, তিনটি পোশাক সিলেক্ট করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন করা হবে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ১৮টি পোশাক পরে পুলিশ, আনসার ও র্যাবের প্রতিনিধি দল বৈঠকে প্রবেশ করে। সেখান থেকে পোশাক নির্ধারণ বা চিহ্নিত হয়। এদিকে দেশে অবৈধ বিদেশি নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দেশে এখনো ৩৩ হাজার ৬৪৮ জন অবৈধ বিদেশি রয়েছেন। গত বছরের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত অবৈধ বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ২৬৬ জন। ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এ সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৬৪৮ জনে। ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত অবৈধ নাগরিকদের থেকে ১০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। উপদেষ্টা বলেন, তাদের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত সময় পার হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবৈধ বিদেশিদের যারা কর্মসংস্থান করে দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বিজিবির সক্ষমতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। তাই বিজিবিকে অত্যাধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত করা হচ্ছে। বৈঠকে জানানো হয়, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান, অনুপ্রবেশ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা মোকাবিলায় বিজিবির কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে। এজন্য সাউন্ড গ্রেনেড এবং টিয়ার শেল ব্যবহার করার মতো সরঞ্জামের প্রয়োজনীয়তা উঠে এসেছে। বিজিবির ব্যবহারের জন্য এ সরঞ্জাম কেনার অনুমোদন দ্রুত কার্যকর করা হবে।