দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস কে) সুর চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানান, তাঁর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পায় দুদক। পরে তাকে ডাকা হলে তিনি হাজির হননি। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আজ (গতকাল) তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী তার জামিন চেয়ে আবেদন করেননি। কারাগারে আটক রাখার আবেদনে দুদকের উপ-পরিচালক নাজমুল হোসাইন বলেন, আসামির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে তার নিজের ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে ও বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী দাখিল করার জন্য সম্পদ বিবরণী জারি করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের ২৭ অক্টোবর নিজ স্বাক্ষরে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশসহ সম্পদ বিবরণী ফরম গ্রহণ করেন। কিন্তু আদেশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধে সূত্রস্থ মামলাটি রুজু করা হয়। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে। আমি গ্রেপ্তারকৃত আসামির জামিনের জোর আপত্তি জানাচ্ছি। জামিন মঞ্জুর করা হলে আসামি আত্মগোপন করতে পারে এবং সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারে এবং তদন্ত কাজকে প্রভাবিত করতে পারে।
মঙ্গলবার বিকালে সিতাংশু কুমার (এস কে) সুর চৌধুরীকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি বিশেষ টিম।
এর আগে ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী (এস কে সুর চৌধুরী), তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী ও মেয়ে নন্দিতা সুর চৌধুরীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেন আদালত। এস কে সুর চৌধুরী ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে অবসরে যান। অভিযোগ আছে, এস কে সুর ডেপুটি গভর্নর থাকাকালে আলোচিত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন ও সুবিধা নিয়েছেন।