অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণে একটা সময় অনেক ওজন বেড়ে গিয়েছিল কপিল শর্মার। এবার ভারতের জনপ্রিয় কমেডিয়ান অল্প সময়ের মধ্যে অনেকটা ওজন কমিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। ঠিক কোন পথে এতটা ওজন কমিয়ে ফেললেন কপিল? এবার সেটিই ফাঁস হয়েছে।
কপিল কীভাবে এই কঠিন সফরের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন এবং সফল হয়েছেন, সেটি ব্যখ্যা করেছেন তার ফিটনেস ট্রেনার যোগেশ ভাতেজা। তিনি জানান, জিমের পথে হাটেননি কপিল। ওজন কমানোর জন্য কপিল ‘২১-২১-২১’ নিয়ম অনুসরণ করে সফল হয়েছেন।
কাজের সূচি এমনই থাকত কপিলের, তাতে তিনি কখনো সময়মতো খাবার খেতেন না। সারা দিনে যখন তখন ভাজাপোড়া খেতেন। ছিল না পর্যাপ্ত ঘুম। এগুলো যেকোনো ব্যক্তির ওজন বাড়িয়ে দেয়। হুট করে ওজন বেড়ে গেলে অনেকেই জিমে ছোটেন, ওজন কমানোর জন্য কড়া ডায়েট মেনে চলেন। কপিল যদিও তেমনটা করেননি। তার ফিটনেস ট্রেনার যোগেশ জানান, কপিলের ক্ষেত্রে পুরো সফরটাই বাড়িতেই হয়েছে। তাতে বিশেষ কাজ করেছে ‘২১-২১-২১’ নিয়মটি। যার ফল ৬৩ দিনে তিনি ১১ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছেন।
এই ‘২১-২১-২১’ নিয়মটি কী?
এই নীতি অনুযায়ী দৈনন্দিন ডায়েট ও শরীরচর্চাকে ২১ দিন করে মোট তিনটি পর্বে ভাগ করা হয়। কপিলের ফিটনেস ট্রেনার জানান, প্রথম ২১ দিনে পুরো হালকার মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন কপিল। ওই সময় শরীরের বিভিন্ন স্ট্রেচিংয়ের ওপরে মনযোগ দিয়েছিলেন কপিল। এই শুরুর ২১দিন ডায়েটের কোনও বালাই থাকে না। তবে এই ২১ দিনের প্রতিটি দিন অন্তত একবার শরীরচর্চা করতেই হবে।
এরপর দ্বিতীয় পর্বে ২১ দিনে ব্যক্তির ডায়েটে বদল আনতে হয়। কপিলের সঙ্গেও সেটাই করা হয়েছিল। যেমন চিনির জায়গায় কপিল গুড় দেওয়া জিনিস খেতেন। তার খাবারে শাক-সবজির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছিল। এই সময়ে বেশি রাত করে খাবার খাওয়া যাবে না, তা বলে দেওয়া হয়েছিল। আর শরীরচর্চা তো রুটিনে ছিলই।
ওজন কমানোর পথে তৃতীয় ধাপে ২১ দিন ধূমপান, মদ্যপান ও কফি পানের আসক্তিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। কপিল শর্মাও সেটি মেনে চলেছিলেন। এভাবে সুস্থ জীবনযাপনের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে কপিল ওজন কমিয়ে ফেলেন এবং সকলকে চমকে দেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএ