অভিনেত্রী তানজিন তিশা। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি যেন আরও বেশি সচেতন, আরও বেশি মনোযোগী হয়েছেন চরিত্র ও গল্প বাছাইয়ে। এ কারণেই হয়তো, তার অভিনীত ভিকি জাহেদের নাটক ‘খোয়াবনামা’ নিয়ে দর্শকের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ আগস্ট বসুন্ধরা হাউজিং নিবেদিত ও তৌসিফ মাহবুব-তানজিন তিশা অভিনীত ‘খোয়াবনামা’ নাটকটি অবমুক্ত হয় ক্যাপিটাল ড্রামা ইউটিউব চ্যানেলে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নাটকটি দেখেছেন প্রায় ৩০ লাখের বেশি দর্শক। ‘খোয়াবনামা’ শুধু একটি নাটক নয়, এটি একটি স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝখানে দোদুল্যমান রহস্যময় জগৎ। নাটকের মূল চরিত্র ‘রূপা’, যে ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তানজিন তিশা, এক গভীর ও জটিল নারী চরিত্র। রহস্য, নিঃসঙ্গতা ও আবেগে জড়ানো রূপা চরিত্রটি যেন তিশার অভিনয়ে এক নতুন রূপ পেয়েছে। ‘রূপা’ চরিত্রটি কেবল একটি মেয়ে নয়, সে এক প্রতীক, আত্মার, স্মৃতির, না বলা অভিমানের। ভিকি জাহেদের চেনা রহস্যধর্মী নির্মাণে রূপার চরিত্রটি ধীরে ধীরে খোলে, আর তানজিন তিশার অভিনয় সেই পর্দা উন্মোচনে রেখেছে অসাধারণ মুনশিয়ানা। কখনো চোখের ভাষায়, কখনো একটুখানি চুপ থাকার মধ্যেই তিনি প্রকাশ করেছেন চরিত্রের জটিল অনুভূতি। নাটকটির এই চরিত্র নিয়ে তিশা বলেন, ‘এই চরিত্রে আমার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল তার আবেগ বোঝা। রূপা কথা কম বলে, কিন্তু তার চোখ অনেক কিছু বলে। এমন চরিত্রে অভিনয় করতে হলে ভিতর থেকে অনুভব করতে হয়।’ এমন অভিনয়ের জন্য যে অভিজ্ঞতা ও সংবেদনশীলতা দরকার, তা আজকের তানজিন তিশার মধ্যেই দেখা গেছে। আগের তুলনায় তিনি এখন অনেক পরিণত, অনেক সচেতন, ক্যারিয়ারের গতি থেকে চরিত্রের গভীরতা পর্যন্ত সবকিছুতেই। ‘খোয়াবনামা’ নাটকে রূপার মাধ্যমে তানজিন তিশা যেন নিজের অভিনয় জীবনের আরেকটি উঁচু ধাপে পৌঁছে গেছেন। তিনি প্রমাণ করছেন, একজন অভিনেত্রী যখন চরিত্রের গভীরে গিয়ে কাজ করেন, তখন সেটি শুধু নাটক নয়, এক অনুভব হয়ে ওঠে।