চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত করে, বোয়িং বিমানের আমদানির ওপর দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে চীন। এই সিদ্ধান্ত এসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সাম্প্রতিক এক বাণিজ্য আলোচনার পর। আলোচনায় উভয় দেশই আমদানি শুল্ক কমানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
সোমবার জেনেভায় অনুষ্ঠিত আলোচনার পর ঘোষণা আসে, ১৪ মে থেকে যুক্তরাষ্ট্র চীনের পণ্যে আরোপিত ১৪৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ৩০ শতাংশে নিয়ে আসবে, এবং চীনও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক ১২৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনবে।
এই ঘোষণার পরই মার্কিন বিমান নির্মাতা বোয়িং-এর তৈরি নতুন বিমান নিতে চীনের অভ্যন্তরীণ এয়ারলাইন্সগুলোকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ নিউজ। যদিও বোয়িং এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে চীন-মার্কিন পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের কারণে চীনের বিমান সংস্থাগুলো নতুন বোয়িং বিমান গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে বোয়িং আগে থেকেই জানিয়ে রেখেছিল, ২০২৫ সালের মধ্যে তারা চীনে প্রায় ৫০টি বিমান সরবরাহ করতে চায়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তিকে ‘পুরোপুরি নতুন শুরু’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, খুব শিগগিরই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আরও উচ্চপর্যায়ের আলোচনা হবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বাণিজ্য দ্বন্দ্ব প্রশমনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল