বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এর ফলে রাঙামাটির ছয়টি উপজেলার প্রায় অর্ধলাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পানি ডুবিয়েছে লংগদু, বরকল, নানিয়ারচর, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি ও বাঘাইছড়ি উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ। ভেসে গেছে বসতবাড়ি, ফসলি মাঠ, দোকানপাট, সড়ক, হাটবাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শহরের শান্তিনগর, পুরানবস্তি, রিজার্ভ বাজার, আসামবস্তি, পাবলিক হেলথ, পৌরসভা এলাকা ও রসুলপুরসহ বহু জায়গার মানুষও পানিবন্দি হয়ে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন।
সবচেয়ে বড় সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির, অন্যদিকে ডুবে গেছে ফলন্ত ফসল। এতে জীবিকা হারিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ জানান, প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে এবং নতুন প্লাবিত এলাকার তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এদিকে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারসাম্য রাখতে কর্ণফুলী নদীতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এজন্য খোলা হয়েছে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেট।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, বর্তমানে হ্রদের পানি রয়েছে ১০৮.৯০ ফুট এমএসএল। ১০৯.০০ ফুট এমএসএল ছাড়ালেই এটি বিপদসীমা অতিক্রম করবে। তাই পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেটগুলো খোলা রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল