ঢাকা উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে নিহত তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রাইসা মনির (৯) সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যরা। রাইসার শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া দক্ষিণপাড়া শামসুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানা গোরস্থানে রাইসা মনির সমাধিতে বিমান বাহিনীর প্রধানের প্রতিনিধি হিসেবে স্কোয়াড্রন লিডার জিহাদুল ইসলাম ও ফ্লাইং অফিসার রুদাবা কামালের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি দল ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। তারা রাইসার কবর জিয়ারত করেন।
এ সময় বিমান বাহিনীর সদস্যরা ছাড়াও আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল ইকবাল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.কে.এম. রায়হানুর রহমান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজালাল আলম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাজড়া শামসুল উলুম মাদ্রাসা মসজিদে বাদ জোহর দোয়ার আয়োজন করা হয়। পরে এতিমখানার শিশুদের মাঝে তবারক বিতরণ করেন বিমান বাহিনীর সদস্যরা। এর আগে নিহত রাইসার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে পরিবারটিকে সমবেদনা জানান বিমান বাহিনীর সদস্যরা।
গত ২১ জুলাই বিমান দুর্ঘটনার পর থেকে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রাইসা মনিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শিশুটির মুখমণ্ডলের অংশবিশেষ দেখে বাবা শাহাবুল শেখ (৪৪) তার কন্যা রাইসা বলে দাবি করেন। বাবার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিএমএইচ থেকে ২২ জুলাই বিকালে লাশের ডিএনএ সংগ্রহ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ডিএনএ রিপোর্টে রাইসার লাশ শনাক্ত হলে গত ২৪ জুলাই দিবাগত রাতে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। পরের দিন শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাইসার লাশ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া দক্ষিণপাড়া শামসুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানা গোরস্থানে রাইসা মনির লাশ দাফন করা হয়।
রাইসার বাবা শাহাবুল শেখ বলেন, আমার সোনা মনির জন্য আপনারা শুধু দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমার সন্তানকে জান্নাতবাসী করেন। তিনি বলেন, ইচ্ছা ছিল মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার, তা আর হলো না।
বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল ইকবাল রাইসার পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল