বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ তামাক সেবন করেন। (অর্থ্যাৎ ৩৫.৩ ভাগ) সেবনকারীদের মধ্যে শতকরা ৪৬ ভাগ পুরুষ ও শতকরা ২৫ ভাগ নারী রয়েছেন। এছাড়া ১ কোটি ৯২ লাখ মানুষ সরাসরি ধূমপান করে এবং ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ ধোঁয়াবিহীন তামাক সেবন করে।
শনিবার দুপুরে (৩১ মে) নীলফামারী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় জেলা পর্যায়ে তামাক বিরোধী আইন বাস্তবায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণে এই তথ্য জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের (জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের) যুগ্ম সচিব মামুনুর রশীদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব (পার-৪ শাখা) আহসান হাবিব বক্তব্য দেন।
প্রশিক্ষণে জানানো জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১ কোটি ৬১ হাজারেরও অধিক মানুষ তামাক জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এছাড়া দেশের ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে শতকরা ৪৬ ভাগই তামাক ব্যবহারকারী।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সামাদ শিকদারের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মসুচিতে তামাকের ক্ষতিকরণ
দিকসমূহ উপস্থাপন করেন নীলফামারী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সারওয়ার হোসেন।
অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোহসিন, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক, সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ, নীলফামারী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম বক্তব্য দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।