কৃষি কথাতে উদ্যোক্তাদের সফলতার গল্প দিলে মানুষ উৎসাহিত হবে। পাশাপাশি যারা ভিডিও দিচ্ছেন তাদেরও আয় বাড়বে। আমাদের কৃষি কথা নামে টুলস আছে, এখন দরকার উদ্যোগ। সবাই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কনটেন্ট তৈরি ও লেখালেখি করলে কৃষকদের মধ্যে নতুন নতুন আইডিয়া তৈরি হবে। কুমিল্লায় বিটরুট, আঙুর, মাশরুম, ড্রাগন চাষ নিয়ে অনেকে কাজ করছেন। কৃষকদের মাঝে জাগরণ তৈরি করতে এসব বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে।
উদ্ভাবনী ডিজিটাল কনটেন্ট উন্নয়নে কৃষি তথ্য সার্ভিসের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে আলোচকরা এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালকের সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এই সেমিনারের আয়োজন করে কুমিল্লা আঞ্চলিক কৃষি তথ্য সার্ভিস। সেমিনারে কৃষি তথ্য সার্ভিসের সদস্য বাড়ানোতে ভূমিকা রাখায় আট কৃষি কর্মকর্তাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এসময় আলোচকরা আরও বলেন, কৃষি বিষয়ক তথ্য বিজ্ঞানীদের ভাষায় বললে কৃষকেরা বুঝবেন না, সরল ভাষায় তাদের কাছে তথ্য পৌঁছে দিতে হবে।
মুক্ত আলোচনায় আঞ্চলিক ভাষার কনটেন্ট তৈরি, কৃষি বিষয়ক গেমস উদ্ভাবন, এআইএসের মাধ্যমে বাজার সংযোগের বার্তা পৌঁছানো, সময়ের তালে তথ্য আপডেট, পোকার আক্রমণ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি, শিশুদের জন্য কৃষি বিষয়ক অ্যানিমেটেড ভিডিও তৈরির বিষয়ে মতামত প্রদান করেন অংশগ্রহণকারীরা।
উত্তরে আলোচকরা জানান, বাচ্চাদের জন্য কনটেন্ট তৈরি করেল তাদের কৃষির প্রতি ভালোবাসা বাড়বে। দেশে কৃষি শ্রমিক কমে যাচ্ছে। কিন্তু কৃষি কাজ বন্ধ থাকবে না। এজন্য তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে মাসে বাংলা কৃষির ১৫টি কনটেন্ট প্রদর্শন করা হয়। আমাদের জনবলের অনেক ঘাটতি আছে। কুমিল্লা অঞ্চলের ৩৪টি উপজেলায় মাত্র তিনজন কাজ করছেন। এসব কারণে সেবা পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কলসেন্টার ও এআই ব্যবহারে অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার অতিরিক্ত পরিচালক আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক মো. মসীহুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্থাপন ও উন্নয়ন কার্যালয়ের উপপরিচালক শাহনাজ রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক আইউব মাহমুদ ও চাঁদপুরের উপপরিচালক মো. আবু তাহের।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা আঞ্চলিক কৃষি তথ্য কর্মকর্তা মনিরুল হক রোমেল।
বিডি প্রতিদিনএএ