ছাত্র আন্দোলনে হামলার সাড়ে নয় মাস পর ২৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) রাতে বরিশাল মহানগর পুলিশের কোতয়ালি মডেল থানায় ওই মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতা।
মামলায় বরিশাল ও ঝালকাঠি জেলার আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। আসামির তালিকায় সাংবাদিকেরাও রয়েছেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি আড়াইশ জন।
কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব মো. মারযুক আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ছাত্র-জনতার ওপর ইট-পাটকেল ও ককটেল-বোমা নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
এ ছাড়া মহাজোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, তার স্ত্রী লুনা আব্দুল্লাহ, বরিশাল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজও রয়েছেন।
দীপ্ত টিভি বরিশাল ব্যুরো প্রধান মতুর্জা জুয়েল ও বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার ব্যুরো প্রধান খান মাইনউদ্দিনকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিক মতুর্জা জুয়েল ও খান মাইনউদ্দিন বলেন, আমাদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন