ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শামছুল আলম বলেছেন, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। সময়োপযোগী দক্ষ জনশক্ষির মাধ্যমে নৈতিক সমাজ গঠনে কাজ করছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ বৈষম্যহীন নৈতিক সমাজ গঠনে ইসলামী শিক্ষার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে মাদরাসা শিক্ষার গুরুত্ব অনেক। মাদরাসা শিক্ষায় একই সাথে আধুনিক, যুগোপযুগী ও ধর্মীয় শিক্ষা বিরাজমান।
রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে রংপুরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত বিভাগের অধিভুক্ত সকল মাদরাসার অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষদের নিয়ে মাদরাসা শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ও ট্রেজারার এ এস এম মামুনুর রহমান খলিলী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু জাফর খানের সভাপতিত্বে সভায় নির্ধারিত বিষয়ে আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কামিল (স্নাতকোত্তর) শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ অলী উল্যাহ, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শাযাআত উল্লাহ ফারুকী, রেজিস্ট্রার মো. আইউব হোসেন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী।
ভিসি বলেন, আমরা চাই মাদরাসাগুলো থেকে যোগ্য আলেম তৈরি হোক, যোগ্য জনশক্তি তৈরি হোক। তারা সমাজের অন্যায়, অনিয়ম এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে অবদান রাখুক। তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে সেশনজট মুক্ত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স কারিকুলাম সময়োপযোগী ও মান সম্পন্ন করা হবে। উচ্চতর গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষরা আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, মাদরাসাগুলোতে সরকারের আরো বরাদ্দ বাড়াতে হবে। শিক্ষকদেরকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। বিগত সরকারের আমলে চাকরিসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব প্রাপ্তিতে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হয়েছে উল্লেখ করে তারা সকলক্ষেত্রে যোগ্যতা বিবেচনায় মাদরাসা শিক্ষার্থীদের বৈষম্যমুক্ত রাখার আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় বিভাগের ১৭৮টি মাদরাসার অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষরা অংশ নেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন