কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুলাভাইয়ের হাতে শ্যালক খুন হয়েছে। অপর শ্যালক গুরুতর আহত অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় দুলাভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত রাকিব (১৩) ভৈরব উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের মানিকদী নয়াহাটি গ্রামের সামসুল হকের ছেলে। রাকিব ইউটিউব কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ছিলেন এবং আহত মো. জিসান (১৬) রাকিবের আপন বড় ভাই। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে অভিযুক্ত দুলাভাই ফারুক মিয়াকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে শ্যালক ও দুইভাইয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে দুলাভাইয়ের রডের আঘাতে নিহত হয় রাকিব এবং ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় অপর শ্যালক জিসান।
পারিবারিক সুত্র জানায়, পাঁচ বছর আগে রাকিবের বোন নাবিলার সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় ফারুকের। তারা সম্পর্কে ফুফাতো ভাই ও মামাতো বোন হয়। পাঁচ বছরের সংসার জীবনে তাদের দুটি সন্তান জন্মগ্রহণ করে। শুরু থেকে ফারুক নেশাগ্রস্ত ছিল এবং এ জন্য প্রেমের বিয়ের সম্পর্ক মানতেও চাননি নাবিলার পরিবার। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে প্রায় সময়ই ঝগড়া লেগেই থাকতো। একই বাড়িতে পাশাপাশি ঘরে বসবাস করায় নাবিলার পরিবারের সঙ্গেও ফারুকের সম্পর্ক খারাপ ছিল। সর্বশেষ শুক্রবার বিকালে নাবিলা ও ফারুকের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হলে নাবিলা ও তার দুই সন্তানকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেন ফারুক। নাবিলার ছোট ভাই রাকিব ও জিসান রাতে বাড়ি ফিরে ঘটনা জানতে পারে। এ ঘটনা জিজ্ঞাসা করতে গেলে ফারুকের সঙ্গে রাকিব ও জিসানের বাকবিতণ্ডা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফারুক রড দিয়ে রাকিবের মাথায় একাধিক আঘাত করেন এবং ছুরি দিয়ে জিসানকে আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে প্রথমে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয় তাদের। ঢাকা নেওয়ার পথে রাকিবের মৃত্যু হয় এবং জিসান বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফারুককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম