ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার মশিউর রহমান অভি। জন্মস্থান মিরকাদিম এনায়েত নগরে। বর্তমানে বাগমামুদালীপাড়ায় বসবাস। পরিবারের বড় সন্তান হওয়ায় দায়িত্বটা স্বাভাবিক একটু বেশিই অভির। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে অভি সকলের বড় সন্তান। মুন্সিগঞ্জে বগুড়ার দই তৈরি করে রীতিমতো মাত করে দিয়েছেন। এখন তিনি সফল একজন উদ্যোক্তা।
পড়াশোনা শেষ করে নিজের ইচ্ছা ও পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে অভি হয়ে উঠেছেন সফল ই-কমার্স উদ্যোক্তা। ফেসবুক পেজ ‘টেডি ফুড ল্যান্ড’- এর মাধ্যমে ব্যবসা করছেন হোমমেড খাটি গাওয়া ঘি, মিষ্টি, জ্যাম, আচার, জেলি, বিখ্যাত বগুড়ার দই এবং খাবারের প্রধান আইটেমগুলো নিয়ে। ৫ জন কর্মচারীর বেতন দিয়েও মাসে তিনি ৩০,০০০ টাকা ইনকাম করছেন। বিয়ে, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, জন্মদিনসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অনলাইনে অর্ডার নিয়ে খাবার তৈরি করে সরবরাহ করেন। ক্যাশ অন ডেলিভারিতে তিনি বিক্রি করছেন তার তৈরি এ সব পণ্য। মুন্সিগঞ্জ ডিসি পার্কের সামনে একটি ভাসমান রেস্টুরেন্ট রয়েছে। সেখানে প্রচুর বিক্রি হয় তার।
নিজের উদ্যোগ নিয়ে অভি বলেন, ব্যবসার শুরুটা প্রথমে সহজ ছিল না। নানা প্রতিবন্ধকতা এসেছে জীবনে তারপরেও হাল ছাড়িনি। এগিয়ে চলেছি নিজের গন্তব্যের দিকে। ভেজাল পণ্যের ভিতরে নিজের ভালো মানের পণ্যকে উপস্থাপন করতে চেয়েছি। আর এখান থেকেই আমার উদ্যোক্তা হওয়া শুরু।
তিনি আরো বলেন, অনেকবারই বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। এখন অবশ্য সবকিছু ম্যানেজ করে কাজ করতে শিখে গিয়েছি। উদ্যোক্তা জীবন সফল হতে আমাকে তৈরি করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। বাস্তবায়নাধীন প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্ট্রিপিনিউরশিপ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার-ডিএএম অংগ) এর অধীনে অন দ্যা জব এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমি এই ব্যবসা শুরু করি।
অভি বলেন, উদ্যোক্তা জীবনে সফলতা কথা বলতে গেলে অনেক কিছুই বলতে হবে। তবে এতোটুকুই বলবো যে আমি নিজে নিজেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছি এবং কারো সাহায্য ছাড়া। এভাবেই আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই সেজন্য সকলের দোয়া চাই।
বর্তমান পেক্ষাপটে অভি তার ব্যবসা নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যেতে চান তিনি। সেই সঙ্গে তার পেজে আরো অনেক নতুন পণ্য সংযোজন করতে চান। উদ্যোক্তা জীবনের দেড় বছরে অনলাইনে প্রচুর খাবার বিক্রি করেছেন মশিউর রহমান অভি।