কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুপক্ষের সংঘর্ষে মিজান (৪১) নামে একজন নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে ভৈরবের ভবানীপুর সুলেমানপুর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মিজান সুলেমানপুর গ্রামের ময়দর মুন্সি বাড়ির রবিউল্লাহ মিয়ার ছেলে। আহতদের মধ্যে দুদু মিয়া (৩২), অপু মিয়া (২৪), পাপ্পু (২২), আক্তার মিয়াকে (৩০) ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামের দুই বংশের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। মৌটুপীর ঝগড়ার বিষয়ে গত বুধবার রাতে পার্শ্ববর্তী ভবানীপুর গ্রামের বধুর গোষ্ঠীর নেতা বাদশা মিয়ার সঙ্গে সুলেমানপুর ময়দর মুন্সি গৌষ্ঠীর মিজান মিয়ার তর্কাতর্কি হয়।
এ ঘটনা মীমাংসার জন্য শুক্রবার সকালে স্থানীয় দরবারিরা শালিসে বসেন। শালিস চলাকালে বধুর গোষ্ঠীর নেতা বাদশা মিয়ার লোকজন ময়দর মুন্সির বাড়ির মিজান মিয়ার ওপর হামলা চালায়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় মিজানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত্ ঘোষণা করেন।
নিহত মিজানের ফুফাত ভাই পারভেজ বলেন, মৌটুপির সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিজান মিয়া ও বাদশা মেম্বারের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে এলাকার চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাটি মীমাংসা করতে আজ শালিসে বসেন। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রতিপক্ষের আঘাতে মিজান নিহত হয়।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, মৌটুপী গ্রামের সংঘর্ষের জেরে পার্শ্ববর্তী ভবানীপুর সুলেমানপুর গ্রামের একজন নিহত হয়েছেন। যৌথবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এএম