পরপর দুই দিন দুই রোগীর মৃত্যুতে দুই চিকিৎসককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ এবং দোষীদের বিচারের দাবিতে ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের কর্মবিরতি চলছে। রবিবার সকালে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এর রুমের সামনে চিকিৎসক ও কর্মচারীরা বিক্ষোভ করে এবং কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।
জানা যায়, গত শুক্রবার ভোলা সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ তুলে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসককে মারধর করা হয়। পরে পুলিশ এসে ওই চিকিৎসককে উদ্ধার করে। পরদিন শনিবার রাতে অপর এক রোগীর মৃত্যু হওয়ায় স্বজনরা আবারও অপর আর একজন ডাক্তারের উপর চড়াও হয় এবং লাঞ্ছিত করে। এতে ক্ষুব্ধ চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা দোষীদের বিচার, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা, হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক দেওয়াসহ ৬ দফা আন্দোলনে নেমেছেন।
দাবিগুলো হলো-
১। ভুল চিকিৎসার অজুহাতে চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার সাথে জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে।
২। ডিউটিরত চিকিৎসকের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৩। সরাসরি ও সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা চিকিৎসকদের নির্যাতনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
৪। পর্যাপ্ত চিকিৎসক পদায়ন দিয়ে চলমান চিকিৎসক সংকট সমাধান করতে হবে।
৫। হাসপাতাল চত্বরে জরুরি ভিত্তিতে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করতে হবে।
৬। দালাল মুক্ত কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ করে কর্মবিরতি দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার শেখ সুফিয়ান রুস্তম জানান, চিকিৎসকদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে তাতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে চিকিৎসা সেবা প্রদান করাটাও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। তিনি আরও জানান, বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক পেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল