মুন্সিগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিএনপি কর্মী মো. আব্দুল মতিন (৫৫) গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় আদালতের আদেশের ১৫ দিন পরেও মামলা রুজু হয়নি।
গুলিবিদ্ধ আব্দুল মতিন শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকার প্রয়াত আরশেদ আলীর ছেলে। জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট শহরের থানারপুল এলাকা থেকে কৃষিব্যাংক মোড় ও থানারপুল এলাকা থেকে মানিকপুর এলাকার জেনারেল হাসপাতাল সড়কে ছাত্র-জনতা ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে দিনভর সংঘর্ষ হয়। আন্দোলনে কৃষিব্যাংক মোড় এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন বিএনপি কর্মী মতিন। গুলিতে তার বাম হাতের কব্জির হাড় ভেঙে চূর্ণ হয়ে যায়।
এ ঘটনায় চলতি বছরের ২৭ মার্চ গুলিবিদ্ধ মতিনের ছেলে রোকনউদ্দৌলা রাফসান বাদী হয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলী আদালতে সিআর মামলা দায়ের করেন (সিআর ৩১০/২০২৫)। মামলাটিতে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মো. ফয়সাল বিপ্লব, মিরকাদিম পৌরসভার সাবেক মেয়র শহীদুল ইসলাম শাহীন ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুননেছা ইন্দিরার ঘনিষ্ঠভাজন আমিনুর রহমান হারুন শিকদারসহ ১৭০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
ওইদিনই আদালত মামলাটিকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করতে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্দেশের ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও শুক্রবার পর্যন্ত থানা পুলিশ মামলাটি রুজু করেনি।
এ প্রসঙ্গে মামলার বাদী গুলিবিদ্ধ মতিনের ছেলে রোকনউদ্দৌলা রাফসান বলেন, এখন পর্যন্ত মামলা রুজু হয়নি। এমনকি আমার সঙ্গে পুলিশ কোনো প্রকার যোগাযোগ পর্যন্ত করেনি।
এ বিষয়ে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজিব দে বলেন, আদালতের আদেশের কপি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে রয়েছে। এখনও থানায় আসেনি। কপি আসলে মামলাটি গ্রহণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল