নেত্রকোনার আটপাড়ায় ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী শিশুকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিশুর বাবা শিশুটির সাথে হাসপাতালে থাকায় থানায় অভিযোগ দিতে না পারায় পুলিশ আসামি ধরতে পারছে না। তবে স্থানীয়রা বলছেন, ঘটনা ধামাচাপা দিতে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের সহযোগিতায় রাজনৈতিকভাবে তৎপর রয়েছে কয়েকজন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যারাতে আটপাড়া উপজেলার লুনেশ্বর ইউনিয়নের নারাচাতল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিশুটিকে আটপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখান থেকে নেত্রকোনা ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয়, স্বজন ও হাসপাতালের ওসিসি বিভাগ এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মা মারা যাওয়া শিশুটি বাবার সাথে বাড়িতে থাকতো। বাবা প্রতিদিন কাজ সেরে রাতে বাড়ি ফেরেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিশুটি একাই বাড়িতে ছিল। এই সুযোগে প্রতিবেশী যুবক শিশুর ঘরে ঢুকে শ্বাসরোধ করে ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত অন্তর মিয়া পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে শিশুটির বাবা বাড়ি এসে রাত ১টার দিকে তাকে আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখান থেকে মেডিকেল অফিসার ডা. এ এম এফ ফজলুল হক তাকে নেত্রকোনায় স্থানান্তর করেন। এরপর নেত্রকোনা থেকে শিশুটিকে ময়মনসিংহে পাঠানো হয়।
স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজিজুল হক বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমি শিশুটির বাড়িতে যাই। শিশুটির শরীর ও মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে আটপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, আমি খবর পেয়ে সাথে সাথে হাসপাতালে যাই এবং ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সাথে কথা বলি। অভিযুক্তকে গ্রেফতারে আমাদের অভিযান চলমান। রাতে স্থানীয়রা মীমাংসা করতে গিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে। এসব বিষয়ে মীমাংসা করা ঠিক হয়নি। তবে মেয়ের বাবা হাসপাতালে থাকায় এখনো অভিযোগ দিতে পারেননি। শিশুটির বাবা খুব গরীব।
নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের অফিসার এস এম এ সেলিম জানান, তারা খোঁজ নিয়ে ময়মনসিংহের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে সহযোগিতা করেছেন। চলতি বছর হাসপাতালে মোট ৮ জন ভুক্তভোগীকে পাওয়া গেছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল