ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ডাকাত সর্দারসহ আরো দুইজন ডাকাত গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধার করেছে টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশ। এর আগে একই ঘটনায় আরো ৩ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সর্দার মো. আলমগীর হোসেনকে নেত্রকোনা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া তার আপন ভাই রাজিব হোসেনকে আশুলিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে সাভারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার লাউতারা গ্রামের বদর উদ্দিন শেখের ছেলে শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল মুহিত (২৯), শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ইসমাইল মোল্লার ছেলে মো. সবুজ (৩০) ও ঢাকার সাভারের টান গেন্ডা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে শরীফুজ্জামান ওরফে শরীফ (২৮) । এদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানায় একটি ও ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানায় একটি বাস ডাকাতি মামলাসহ মোট ৫টি মামলা রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, চলন্তবাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় সাভাবের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১০টি মোবাইল, মহিলা যাত্রীদের হাত থেকে দুই জোড়া চিকন এ্যামিটেশনের চুড়ি, ৩টি ব্যাগ, এনআইডি কার্ড ৩টি, এটিএম কার্ড ১টি ২টি ছুরি ও ২টি রূপার আংটি উদ্ধার করা হয়। তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন সোর্স ব্যবহার করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাসে নারী যাত্রীদের ধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। তবে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ