বগুড়া জেলা ও শেরপুর উপজেলা মোটরশ্রমিকদের দ্বন্দ্বের জেরে গতকাল ভোর থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন করতোয়া গেটলক পরিবহনের শ্রমিকরা। তাদের কর্মসূচির সঙ্গে বগুড়া জেলা বাস-মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা একাত্মতা ঘোষণা করেন। হঠাৎ বাস বন্ধ হওয়ায় অফিস ও জরুরি কাজে বগুড়াগামী যাত্রীরা পড়েন বিপাকে।
শেরপুর করতোয়া টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন গেটলক নামে বগুড়া শহরে চলাচল করে প্রায় ৪৫টি বাস। এসব বাসে কয়েক হাজার যাত্রী শেরপুর, ধুনট, কাজীপুর ও তাড়াশ থেকে বগুড়ায় যাতায়াত করেন। একাধিক যাত্রী জানান, করতোয়া গেটলক বাস বন্ধ থাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আরিফুর রহমান মিলন জানান, শ্রমিকরা তাদের নিরাপত্তার যে দাবি জানিয়েছেন আমরা তার সঙ্গে একমত। আশা করি সংশ্লিষ্টরা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সুষ্ঠু সমাধান করবেন। জানা যায়, গত শুক্রবার সকালে বগুড়া শহরের চারমাথা থেকে ছেড়ে আসা একটি বাস শেরপুরের কোচ টার্মিনালে পৌঁছে। তখন ঢাকাগামী যাত্রী তোলা নিয়ে স্থানীয় শ্রমিকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় বগুড়ার শ্রমিকরা শেরপুরের করতোয়া গেটলক পরিবহনের তিন শ্রমিককে মারধর করে। পরদিন বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কয়েকজন সদস্য শহরের ট্রেনস্টেশন সড়ক থেকে করতোয়া গেটলকের ১৫টি বাস বের করে দেন। এতে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে শেরপুরের শ্রমিকদের মধ্যে। রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় শ্রমিকরা কর্মবিরতি ঘোষণা দেন।