নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার রোলভা গ্রাম। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সৃষ্টিতে হয়েছে জলাবদ্ধতা। ২০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। অনেকের বাড়ির উঠান ও ঘরের মেঝে ডুবে গেছে। চরম বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা।
জানা যায়, এক বছর আগে রোলভা গ্রামের কাঁচা রাস্তা পাকা করার সময় পানি নিষ্কাশনের জন্য দেওয়া চারটি চোঙ বন্ধ করে দেয়। এসব স্থানে কালভার্ট করার কথা থাকলেও তা হয়নি। এ কারণে এবার বর্ষা মৌসুমে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। গ্রামের প্রায় সব পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেক পরিবারের চুলা, টিউবওয়েল ও টয়লেট এখন পানির নিচে। করও কারও রান্না-খাওয়া প্রায় বন্ধ। নেই নিরাপদ পানির ব্যবস্থাও। নোংরা পানিতে চলাচল করায় অনেকে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। শতাধিক শিক্ষার্থী স্কুল-মাদরাসায় যেতে পাড়ছে না। মাস খানেক ধরে চলছে এমন অবস্থা। কেউ কেউ ঘরবাড়ি ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনের কাছে আশ্রয় নিয়েছেন। সরেজমিন দেখা যায়, গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির উঠানে, ঘরের মেঝেতে পানি। ঘরগুলো বসবাসের অযোগ্য। রাস্তায় বেঁধে রাখা গবাদি পশু কখনো বৃষ্টিতে ভিজছে, কখনো রোদে পুড়ছে। গ্রামের কমপক্ষে ৩০টি বাড়িতে লোকজন নেই। অন্য বাড়ির মহিলারা চলে গেছেন বাবা বা স্বজনদের বাড়িতে। ঘরে থাকার পরিবেশ না থাকায় পুরুষরা রাস্তায় অলস সময় কাটাচ্ছেন। গ্রামের কবরস্থান হাঁটু পানির নিচে। পানের বরজ, কলা, পেঁপে ও লেবুর বাগান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মরে যাচ্ছে বিভিন্ন ফলদ গাছ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে। গ্রামের ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘২০-২৫ দিন ধরে ঘরের মেঝে ও উঠানে পানি। চুলা ডুবে যাওয়ায় রান্না-বান্না বন্ধ। কখনো মুড়ি, কখনো চা বিস্কুট খেয়েই দিন কাটছে।’