কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার তিস্তা নদীতে ডুবে নিখোঁজ হওয়া শিশু নাজিমের (৫) লাশ এক দিন পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। গতকাল সকালে নদী থেকে লাশটি তোলার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শিশু নাজিম বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ডাংরারহাট বাজার এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে। এদিকে নাটোরের সিংড়া থেকে নিখোঁজের তিন দিন পর পাবনার গুমানী নদী থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকালে চাটমোহরের গুমানী নদীর কাটেঙ্গা এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় শিশু কেয়া খাতুনের (৪) লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ৫ জুলাই সিংড়া পৌরসভার শোলাকুড়ার আত্রাই নদীর পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সে।
শিশুর পরিবার সুত্রে জানা গেছে, কেয়া গত ৫ জুলাই সকালে প্রতিবেশী শিশুদের সাথে আত্রাই নদীর পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও না পেয়ে এলাকায় মাইকিং ও জিডি করা হয়।
সিংড়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার তিনদিন পর পাবনার চাটমোহর গুমানি নদী থেকে একটি অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে শিশুটির পরিবারের লোকজন সেখানে রওনা দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’
চাটমোহর থানার ওসি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘৯৯৯ এ ফোন পেয়ে লাশটি গুমানী নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। লাশটি পচে নষ্ট হয়ে গেছে। পরে বিভিন্ন থানায় তথ্য পাঠিয়ে পড়নের কাপড় দেখে লাশ সনাক্ত করা হয়। শিশুটি পানিতে পরে এখানে ভেসে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’