রমজানে ব্যস্ত সময় পার করছেন নেত্রকোনার মুড়ি কারিগররা। মিলগুলোতে দেখা গেছে প্রাণচাঞ্চল্য। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন সক্ষমতা কম থাকায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে মালিকদের। রোজায় ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ মুড়ি। প্রতিদিন মুড়ি প্রস্তুতের পাশাপাশি প্যাকেজিং আর ডেলিভারিতেই সময় যাচ্ছে উৎপাদন সংশ্লিষ্টদের।
সরেজমিন দেখা গেছে, জেলার বিসিক শিল্পনগরীসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা মুড়ি মিলে কর্মব্যস্ত কারিগররা। নেত্রকোনাবাসীর পুরো চাহিদার এক তৃতীয়াংশ মুড়ির জোগান দেয় স্থানীয় মিলগুলো। বাকি চাহিদা পূরণ হয় আশপাশের জেলা থেকে। চলতি বছর জ্বালানিসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় কিছুটা বেড়েছে মুড়ির দাম। পাইকারিতে গত বছরের তুলনায় কেজিতে দুই-চার টাকা বাড়লেও খুচরায় দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে আবার জেলার প্রায় সব কয়টি মিল লাকড়ি ও কাঠের ভুসি নির্ভর হওয়ায় উৎপাদন খরচ গুণতে হয় বেশি। ফলে স্থানীয় বাজারে মুড়ির চাহিদা থাকলেও জ¦ালানি সংকটে উৎপাদন সক্ষমতা না থাকায় চাহিদা পূরণ করতে পারছে না মিলগুলো। তার পরও এ রোজায় উৎপাদন আগে থেকে দ্বিগুণ বেড়েছে স্বীকার করছেন বলছেন কারিগররা। নেত্রকোনা বিসিক শিল্প নগরীতে এখনো গ্যাস সংযোগ না থাকায় একমাত্র মুড়ি কারখানাটি আছে ক্ষতির মধ্যে। কারখানা মালিক সোহেল মিয়া জানান, বাড়তি খরচে তার পুষে না। তবুও মুড়ির ব্যবসা ধরে রেখেছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মুড়ির চাল সংগ্রহ করতে হয় দিনাজপুর থেকে। পরিবহন এবং চালের ওপরে নির্ভর করে মুড়ির দাম। চালের দাম না বাড়লে নতুন করে মুড়ির দাম বাড়ার শঙ্কা নেই।