বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা সংক্রান্ত বিষয়ের পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশ দেওয়ার সময় আরও এক দফা বাড়িয়েছে সরকার। সুপারিশ দেওয়ার মেয়াদ আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগে গত ১১ মার্চ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা সংক্রান্ত বিষয় পর্যালোচনা করতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে সভাপতি করে ছয় সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি করে সরকার। কমিটিতে তিন মাসের মধ্যে সুপারিশ দিতে বলা হয়। পরে মেয়াদ এক দফা বাড়ানো হয়। সুপারিশ দেওয়ার সেই সময় শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। এর আগেই আরেক দফা সময় বাড়ানো হলো। এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক আলী আশফাক এবং রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল হুদা।
কমিটিকে ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদন্ত কাজের অগ্রগতি ও এ সংক্রান্ত গৃহীত সরকারি অন্যান্য পদক্ষেপ পর্যালোচনা, এ ঘটনার দায়দায়িত্ব নির্ধারণ এবং এর পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে ২ কোটি ডলার শ্রীলঙ্কা থেকে উদ্ধার করা হয়। বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার আরসিবিসি ব্যাংক হয়ে ফিলিপাইনের বিভিন্ন ক্যাসিনোয় ঢুকে যায়।
প্রায় সাড়ে আট বছর ধরে চলা আইনিপ্রক্রিয়া ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পর সম্প্রতি এই অর্থ বাজেয়াপ্ত হয়।