খুলনা মহানগরীর কেডিএ অ্যাপ্রোচ রোডে এক মাস ধরে পয়োনিষ্কাশন পাইপলাইনের চেম্বার তৈরি করছে ওয়াসা। ভারী মেশিন দিয়ে একাধিক স্থানে প্রায় ৩০ ফুট গর্ত করায় সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
একইভাবে শিববাড়ী-সোনাডাঙ্গা মজিদ সরণি সড়কের মাঝেও ৩০ ফুট গর্ত করেছে ওয়াসা। অন্য প্রান্তে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ করছে সিটি করপোরেশন। ব্যস্ততম এসব সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় যানজট ছড়িয়ে পড়ছে শহরজুড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গল্লামারী মোড়ে সোনাডাঙ্গা থেকে যাওয়া বাস, ট্রাক, ইজিবাইক, রিকশা সড়কে বাঁশ দিয়ে আটকে শেরেবাংলা রোড ঘুরে ব্রিজের দিকে নেওয়া হচ্ছে। এখানে দুটি পুরোনো ব্রিজের একটি ভেঙে ফেলায় অসহনীয় যানজট তৈরি হয়। খুলনা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা আঞ্জুয়ারা খাতুন বলেন, ‘গল্লামারী এলাকায় সকাল ৯টা-১০টার দিকে এত জ্যাম থাকে যে এ পথ দিয়ে চলাচলের উপায় থাকে না।’ একইভাবে শিববাড়ী মোড় ডাকবাংলার দিক থেকে আসা ইজিবাইক, মাহেন্দ্র ও প্রাইভেট কারকে বাঁশ ও প্লাস্টিকের প্রতিবন্ধকতা দিয়ে আটকে কেডিএ অ্যাভিনিউ হয়ে পুরাতন যশোর রোডে নেওয়া হচ্ছে। এখানে সোনাডাঙ্গা থেকে আসা যানবাহনের চাপ থাকায় সারা দিনে প্রচ যানজট তৈরি হয়। সড়কে কোথাও সিগন্যাল লাইট নেই। অদক্ষ ইজিবাইকের চালকরা যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠাতে থাকেন। সুউচ্চ ভবনগুলোয় পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের এক পাশ দখল করেই গাড়ি রাখা হয়। খানজাহান আলী রোড, আহসান আহমেদ রোড, পিটিআই মোড়, সাত রাস্তার মোড়, ডাকবাংলা, পাওয়ার হাউস মোড়, পিকচার প্যালেস মোড়, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, দৌলতপুর, ফুলবাড়ী গেট এলাকায় একইভাবে যানজটে ভোগান্তি বাড়ছে।
নিরাপদ সড়ক চাইয়ের (নিসচা) সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না বলেন, ‘তীব্র যানজটে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।’ তিনি বলেন, ‘ভোগান্তি কমাতে যানজট নিরসন, নিরাপদ পথচারী পারাপার ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে।’ কেএমপির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) সুদর্শন কুমার রায় জানান, যানজট নিয়ন্ত্রণ ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে। অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালানো হয়।