জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা বলেছি শুধু নির্বাচন নির্বাচন বললে হবে না, ভোট চাচ্ছেন কিন্তু ভোট যদি ভোটের মতো না হয় তাহলে হবে? তাই আমরা বলেছি আগে বিচার, তারপর সংস্কার, তারপর নির্বাচন।’ নাটোরের বাগাতিপাড়ায় গতকাল সকালে উপজেলা জামায়াতের দায়িত্বশীল সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় শুধু আমরা না, সাধারণ মানুষ দেখেছে আওয়ামী সরকার নির্বাচনের নামে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছে। ২০১৪ সালের বিনা ভোটে এমপি হয়ে পার্লামেন্টে গেছে, ২০১৮ সালের দিনের ভোট নিশিরাতেই সেরে ফেলেছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে সাধারণ মানুষ কেন্দ্রে উপস্থিত হয়নি, ভোটারদের যাওয়া লাগেনি, এমনকি যারা গেছেন তাদের ভোটগুলো প্রার্থীর আত্মীয়স্বজনরা মেরে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ২০২৪-এর নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যায়নি, ওরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে ডামি প্রার্থী সাজিয়ে নির্বাচন করেছিল। বিগত জালিম সরকার এও বলত-আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব। কিন্তু দেখা যেত আমার ভোট আমি দেব তোমার ভোটও আমি দেব, এমনটাই ঘটেছিল। সুতরাং জনগণ ও ছাত্ররা আর এমন নির্বাচন চায় না, অতীতে যা ঘটেছে তার পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না। মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ‘দীন ও দেশের কল্যাণে জামায়াতের দায়িত্বশীলদের আরও নিষ্ঠা ও ত্যাগের সঙ্গে কাজ করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের এ লড়াই চলবেই। ২০২৪-এর আন্দোলনে আমরা দেখেছি ছাত্রদের মুখে স্লোগান ছিল উই ওয়ান্ট জাস্টিস-আমরা ন্যায়বিচার চাই, ঠিক তেমনি আমরা জামায়াতে ইসলামী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
১৯৭১ থেকে শুরু করে ২০২৪ পর্যন্ত ৫৪ বছর জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, পুঁজিবাদসহ নানান মতবাদ আমরা দেখেছি; যেগুলোয় কোনো শান্তি নেই, আমরা চাই কোরআনের আইন, তা হলেই ইহকাল ও পরকালে শান্তি সম্ভব।’
বাগাতিপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা এ কে এম আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মো. জাকির হোসেন মাস্টারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নাটোর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী, সেক্রেটারি অধ্যাপক মো. সাদেকুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মো. আতিকুল ইসলাম রাসেল, নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের এমপি প্রার্থী মাওলানা মো. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।