ঈদের আগে প্রতি বছর বেতন বোনাস নিয়ে শিল্প এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। আগামী ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদের বাকি আর মাত্র পাঁচ দিন। দেশে শিল্প অধ্যুষিত আট এলাকা আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, কুমিল্লা ও সিলেটে মোট কারখানার সংখ্যা ৯ হাজার ৬৮৩। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত দেশের মোট ৯ হাজার ৬৮৩টি কারখানার মধ্যে মে মাসের বেতন পরিশোধ করেছে ৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ বা ৮৪৯টি কারখানা। বাকি ৯১ দশমিক ২৩ শতাংশ বা ৮ হাজার ৮৩৪টি প্রতিষ্ঠান বেতন পরিশোধ করতে পারেনি। শিল্প পুলিশের সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
অন্যদিকে শিল্প পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ৯ হাজার ৬৮৩টি কারখানার মধ্যে এখনো ঈদুল আজহার বোনাসও পরিশোধ করতে পারেনি ৫৬ দশমিক ১৯ শতাংশ কারখানা। বোনাস পরিশোধ করতে পারেনি ৫ হাজার ৪৪১টি কারখানা।
গত ২৮ মে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (টিসিসি) এবং আরএমজি-বিষয়ক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (আরএমজি-বিষয়ক টিসিসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) আওতাধীন কারখানা বা শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং চামড়া প্রক্রিয়াকরণ ট্যানারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের আসন্ন ঈদে ছুটির বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও বোনাস ৩১ মের মধ্যে এবং মে মাসের বেতন ৩ জুনের মধ্যে পরিশোধের বিষয়েও আলোচনা হয়। শ্রমিকদের মাসিক বেতন, ঈদ বোনাস পরিশোধে ব্যর্থ হতে পারে এমন কারখানার তালিকা উপস্থাপন করে শিল্প পুলিশ। তালিকা অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তালিকার ছায়ালিপি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিইএফ বরাবর পাঠানোর বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেসব কারখানা, প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও বোনাস পরিশোধ করতে ব্যর্থ হবে সেসব কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।