সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সুপারিশে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের কলেজ শাখার উপপরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন আলমগীর কবীর। নিয়োগ পেয়েই জাল সনদে এমপিও, অভিজ্ঞতা ছাড়াই পদোন্নতি ও শিক্ষার্থী না থাকলেও তৃতীয় শিক্ষকের অনুমোদন সবই করেছেন। অনিয়মে জড়ানোয় গত বছরের জুনে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। তবে ৫ আগস্টের পর ভোল পালটে আগের পদে ফিরে আসেন।
দ্বিতীয় দফায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের কলেজ শাখার উপপরিচালকের দায়িত্ব নিয়েই আবারও জড়িয়েছেন অনিয়ম-দুর্নীতিতে। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অভিযানে ফাইল আটকে রাখার সত্যতা পাওয়া গেছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সহকারী পরিচালক আমীর হোসাইন জানান, তারা উপপরিচালক আলমগীর কবীরের কাছে ৯২টি ফাইল আটকে রাখা অবস্থায় পেয়েছেন। যেগুলো তিনি পরিচালকের কাছে স্থানান্তর করেননি। ঘুষের জন্য এসব ফাইল আটকে রাখা হয়েছে বলে তারা অভিযোগ পেয়েছেন।
মাধ্যমিক ও শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মোহা. আছাদুজ্জামান জানান, উপপরিচালকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও ঘুষ দাবির অভিযোগ আগেও শিক্ষকরা করেছিলেন। ৯২টি ফাইল ঘুষের জন্য আটকে রাখা হয়েছে বলে তিনি জেনেছেন।