ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা এবং ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর এই প্রথম ভিডিও বার্তা দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধবিরতির অবসানের দুই দিন পর তার এই মন্তব্য এসেছে। খামেনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণেল ইস্যু নয় বরং ইরানকে আত্মসমর্পণ করাতেই ছিল।
স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫মিনিটে তার পূর্ণাঙ্গ বার্তা সম্প্রচারিত হওয়ার আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে ভাষণের খবর ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। খবর বিবিসির
রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত এক ভাষণে খামেনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ করে আমেরিকা উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। যা ঘটেছে তার একটি অস্বাভাবিকভাবে অতিরঞ্জিত বর্ণনা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটা স্পষ্ট ছিল তাকে এটা করতে হয়েছিল। যে কেউ শুনলেই বলতে পারে আমেরিকা সত্যকে বিকৃত করার জন্য জিনিসগুলো অতিরঞ্জিত করেছে। আমরা এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছি এবং এখানে তারা এটাকে ছোট করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, এই সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র যে পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা করেছে সেগুলোতে উল্লেখযোগ্য কিছুই ঘটেনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘নির্মূল’ করার দাবির সরাসরি বিরোধিতা করে এই মন্তব্য।
এই ইরানি নেতা বলেন, তার দেশ তাদের ঐক্য প্রদর্শন করেছে, তারা এই বার্তা পাঠিয়েছে ‘আমাদের জনগণের কণ্ঠস্বর এক’। খামেনি বলেন, ট্রাম্প তার দেশকে ‘আত্মসমর্পণ’ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মুখের তুলনায় তা খুব বড় মন্তব্য ছিল।
তিনি বলেন, ইরানের মতো একটি মহান দেশ ও জাতির জন্য আত্মসমর্পণের কথা বলাই অপমান। আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এই অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিতে আরও হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে বলেন, যদি কোনো আক্রমণ ঘটে, তাহলে শত্রু এবং হামলাকারীদের অবশ্যই চড়া মূল্য দিতে হবে।
এর আগে, সামাজিকমাধ্যমে শেয়ার করা পোস্টে খামেনি বলেন, কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ইরান আমেরিকার মুখে এক কঠিন চড় মেরেছে। তবে ওই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান বিজয় অর্জন করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/শআ