স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে আন্দোলন থেকে সরে এসে এবার জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করার কথা জানিয়েছেন প্রধান সমন্বয়ক মহিউদ্দিন রনি। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা সংস্কারে পরিচালকের দেওয়া রুপরেখার ভিত্তিতে আগামী ৫০ দিন এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
বুধবার শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের সাথে বৈঠক শেষে বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান মহিউদ্দিন রনি।
সংবাদ সম্মেলনে মহিউদ্দিন রনি বলেন, হাসপাতালের পরিচালক একেএম মশিউল মুনীর একটি রুপরেখা দিয়েছেন। শেবাচিম হাসপাতালের নানা রকম সমস্যার কিছু সমাধান করেছেন। আমাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওয়ার্ড মাস্টারসহ বেশ কয়েকজন স্টাফকে বহিষ্কার করেছে। হাসপাতালের আরও অনেক রকম সমস্যার সমাধান করবে। বর্তমানে করণীয় ও ভবিষ্যতের কার্যক্রম রুপ রেখা দিয়েছে।
সাময়িক যে সংস্কারগুলো হয়েছে, এটা বরিশালবাসীর দীর্ঘদিনের আন্দোলনের সফলতা জানিয়ে রনি বলেন, ভবিষ্যতে যে এটা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে না, এটার গ্যারান্টি কে দেবে। এটার দেখভাল করার দায়িত্ব বরিশালবাসীর। দেখভাল করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা চেয়েছিলাম উপদেষ্টাকে আসতে হবে। সারাদেশের হাসপাতালগুলোর সমস্যা তারা সমাধান করবেন-এটা লিখিতভাবে তাদের প্যাডে চেয়েছিলাম। আমরা বুঝতে পেরেছি এ উপদেষ্টা অথর্ব। তাকে আর বরিশালবাসীর প্রয়োজন নেই। আমরা তাকে ডিনাই করেছি। আমরা বরিশালবাসীর সমাধান হওয়া প্রয়োজন, সেই জন্য এই রুপ রেখা পেয়েছি। আমরা আগামী ৫০ দিনের সময় বেধে দিয়েছি। কিন্তু তারা চেয়েছিল একমাস। আমরা এই ৫০ দিন বরিশালের সর্বস্তরের জনতা প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে জনসংযোগ করে যাবো। এই জনসংযোগের মাধ্যমে হাসপাতালের যেসব সমস্যা সমাধান হবে-সেগুলো পর্যালোচনার মাধ্যমে মনিটরিংয়ে যাব। কিন্তু কোনো নার্স বা স্টাফ ও ডাক্তারকে কোনোভাবে প্রেশারাইজড করবো না। তারা যে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা চেয়েছে, আমরা তাদের সেই দাবির সাথে একমত পোষণ করছি। সেই জন্য আমরা ফলোআপ ও জনসংযোগে যাচ্ছি।
আগামী ৫০ দিনের মধ্যে তারা যদি কমিটমেন্ট ও আশ্বাস অনুযায়ী কাজ না করে, তাহলে কঠোর থেকে কঠোরত আন্দোলনে যাবেন বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই