বাংলা নববর্ষ নস্যাতের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে চেয়েছে জাতীয় কবিতা পরিষদ। সংগঠনটির উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।
জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিনের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ, জাতীয় কবিতা পরিষদের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কবি মতিন বৈরাগী, সহ-সভাপতি কবি শহিদুল্লাহ ফরায়জী, কবি এবিএম সোহেল রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবি শাহিন রেজা, কবি শ্যামল জাকারিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরন্নবী সোহেলসহ জাতীয় কবিতা পরিষদের নেতৃবৃন্দ এবং দেশের খ্যাতিমান কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মীগণ।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসন ও গণহত্যায় নিহতদের স্বরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের পর জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে কবি হাসান হাফিজ বলেন, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের প্রতিবাদে অবিলম্বে ইন্ডিয়ান অপপ্রচারকারী সকল মিডিয়াকে বন্ধ করতে হবে। একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনে সরকারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের পক্ষ থেকে পহেলা বৈশাখ আয়োজনে বাঙালিসহ উপজাতিদের তাদের জাতিসত্ত্বাকে ধারন করে এই উৎসবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যেটা প্রশংসার দাবিদার।
কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন বলেন, গাজায় সংহিতার বিরুদ্ধে জাতীয় কবিতা পরিষদ পহেলা বৈশাখের উৎসব শোভাযাত্রায় প্লাকার্ড বহন করবে।
গীতি কবি শহিদুল্লাহ ফরায়জী বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মানে পহেলা বৈশাখ উৎসবকে আমরা সর্বজনীন করে তুলতে পারি।’ কবি শাহিন রেজা বলেন- মঙ্গল শোভাযাত্রায় অমঙ্গলের যেন কিছু না হয় সেদিকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কবিতা পরিষদের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য বর্ষিয়ান কবি মতিন বৈরাগী, সভাপতি কবি মোহন রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন আগত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং সবশেষে পহেলা বৈশাখ উদযাপনকে সম্মিলিত ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে সাফল্যমণ্ডিত করার আহ্বান জানান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল