ছাত্রদলের বিদ্রোহী প্রার্থী সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিঠুসহ ১৪ পদপ্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। এদিকে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদের পদপ্রার্থীরা। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব ঘটনা ঘটে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এফ নজরুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। দ্রুতই ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। আজ ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
কমিশনের তথ্যমতে, ভিপি পদে ২ জন, জিএস পদে ১ জন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে ১ জন, বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক পদে ১ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১ জন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১ জন, সহক্রীড়া সম্পাদক পদে ১ জন, সহমিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১ জন সহ পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে ১ জন ও কার্যনির্বাহী সদস্য পদে ১ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
এর আগে, কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি পদে ১৯ জন, জিএস পদে ১৪ জন, এজিএস পদে ১৬ জন, ক্রীড়া ও খেলাধুলা বিষয়ক সম্পাদক পদে ৯ জন, সহকারী ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক পদে ৬ জন, বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক পদে ৭ জন, সহকারী বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক পদে ৮ জন, মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১০ জন, সহকারী মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১০ জন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, সহকারী সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক পদে ৯ জন, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক পদে ১২ জন, সহকারী পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক পদে ১৭ জন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে ৭ জন, সহকারী মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে ৮ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে ১০ জন, সহকারী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে ৬ জন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক পদে ১৩ জন, সহকারী তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে ৮ জন এবং কার্যনির্বাহী সদস্য ৪ পদে ৫৫ জন মনোনয়ন জমা দেন।
এদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভিপি পদে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিঠু। তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন উত্তোলন করেছিলেন।
তিনি বলেন, ব্যক্তির থেকে দল বড়, দলের থেকে দেশ বড়। দলের স্বার্থই বড়। তাই দলকে সমর্থন দিয়ে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করছি। আসন্ন নির্বাচনে দলের প্যানেলের হয়েই কাজ করবো।
অন্যদিকে, সুষ্ঠু নির্বাচনের ১৪ দফা দাবি জানিয়েছে ছাত্রদলের প্যানেল এবং ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্র ফেডারেশনের সমন্বিত প্যানেল রাকসু ফর রেডিক্যাল চেঞ্জ।
প্যানেলের নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সন্দিহান। এখন পর্যন্ত ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়নি। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে উঠলেও কমিশন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিভিন্ন কাজে কমিশনের দুর্বলতা এ সন্দেহের মাত্রা বাড়িয়ে তুলছে। সুষ্ঠু নির্বাচনে অবিলম্বে ১২ দফা বাস্তবায়ন চান তারা।
তাদের দফাগুলো হলো : স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবস্থার পাশাপাশি ভোট গ্রহণের শুরুতে সাংবাদিক ও প্রার্থীর এজেন্টদের সামনে ব্যালট বাক্স উন্মোচন করতে হবে; ভোটারদের আঙুলে মুছে না যায় এমন কালি ব্যবহার করা; একদিনের মধ্যে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে; ভোট গণনার স্বচ্ছতার জন্য ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করতে হবে; প্রার্থীদের নির্বাচনী খরচ নির্দিষ্ট করতে হবে; সকল প্যানেল বা প্রার্থীর পোস্টারের সংখ্যা নির্দিষ্ট করতে হবে; নির্বাচনী ব্যালট ছাপানো, বাঁধানো, নাম্বারিং করা পর্যন্ত এজেন্টের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে; পর্যাপ্ত সংখ্যক বুথ ব্যবস্থা করতে হবে; ডিজিটাল বোর্ডে ভোটার নাম্বারসহ প্রকাশনা চলমান রাখতে হবে; সাইবার বোলিং সেল কার্যকর ও কার্যক্রম পদ্ধতির রূপরেখা দিতে হবে; নির্বাচনের দিন ভোটারদের হাতে ব্যালট লিস্ট ধরিয়ে দেয়া যাবে না।
বিডি প্রতিদিন/এমআই