খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য ড. মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও কুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ঢাবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে কুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। তারা ভিসি চত্বর থেকে রাজু ভাস্কর্য হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং ৫ মিনিটের ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেন। এরপর পুনরায় রাজু ভাস্কর্যে ফিরে আসেন।
সমাবেশে ঢাবির শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, “কুয়েটের ভিসি মাছুদ একজন দলকানা, অর্থলোভী, অযোগ্য ব্যক্তি। তার আমলে ক্যাম্পাসে গ্যাঞ্জামের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা মার খেয়েছে, অথচ উল্টো তাদের বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে। ভিসির এত ক্ষমতা যে, তার প্রভাব সুদূর লন্ডন পর্যন্ত বিস্তৃত।”
কুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী মাহি বলেন, “আমাদের জুনিয়রদের ওপর ছাত্রদলের চিহ্নিত ক্যাডাররা হামলা করেছিল। কিন্তু তার ফলশ্রুতিতে উল্টো শিক্ষার্থীদের নামে ২২টি মিথ্যা মামলা ও ২০টি অজ্ঞাতনামা মামলা দেওয়া হয়েছে। ৩৭ জনকে বহিষ্কার করে ভিসি স্বৈরাচারী প্রশাসন চালাচ্ছেন। আমরা ক্যাম্পাসে কোনো লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি চাই না।”
শিক্ষার্থীরা জরুরি ভিত্তিতে কুয়েট ভিসি মাছুদকে পদত্যাগ বা বহিষ্কার না করলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে কুয়েটের শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বুয়েটের শহীদ মিনার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যে আসেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
সমাবেশে বুয়েটের শিক্ষার্থী আল ফারাবী বলেন, “কুয়েট শিক্ষার্থীদের সব যৌক্তিক দাবির প্রতি বুয়েট শিক্ষার্থীরা পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছে। আমরা দাবি জানাই, দ্রুত তাদের দাবি মেনে অনশন ভাঙার ব্যবস্থা এবং প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক।”
এছাড়া মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ প্রতীকী অনশনে বসেন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক