রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরসহ প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগের ১১ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অফিসে দেরিতে আসা এবং কাজে ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাছে নোটিশ পাঠানো হয়। অফিস ফাঁকি দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোছা. উম্মে ফারহানা চৌধুরী, উপ-রেজিস্ট্রার এ.টি.এম শহীদুল ইসলাম, সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) সাকিনা আক্তার সীমা, সিনিয়র অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর সুফিয়া খাতুন, সিনিয়র অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর মোছা. সুমি বেগম, হিসাব রক্ষক নুর হোসেন শাহ, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর মামুনুর রশীদ, সি-ক্যাটাগরি এম.এল.এস.এস স্বপ্না দাস, সি-ক্যাটাগরি এম.এল.এস.এস ফারুক আহমেদ, এম.এল.এস.এস এস এম শহীদুল ইসলাম, এম.এল.এস.এস জাহাঙ্গীর আলম।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী, রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশীদ, প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান গত ২ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন দপ্তর ও অফিস পরিদর্শনকালে কর্মকতা ও কর্মচারীকে অনুপস্থিত দেখতে পান। যা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং অনাকাঙ্ক্ষিত। এরপর তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়।
বেরোবি’র রেজিস্টার ড হারুন উর রশিদ বলেন, ভিসি স্যার পরিদর্শনের সময় ওইসব কর্মকর্তাদের অনুপস্থিত দেখতে পান। ফলে তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ