টানা ১৯ ঘণ্টা পর উপাচার্যের (ভিসি) আশ্বাসে অনশন স্থগিত করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীরা।
সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান অনশনরত শিক্ষার্থীদের জুস পান করিয়ে তাদের অনশন ভাঙান।
রাত ১০টা থেকে অনশন স্থগিত করা পর্যন্ত উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদ্বয়, কোষাধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের ডিনসহ প্রশাসনের অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন।
অনশন স্থগিতের পর ইংরেজি বিভাগের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী চিশতি বলেন, “প্রশাসন আমাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে নৈতিকভাবে পোষ্য কোটা বাতিলের আশ্বাস দিয়েছেন। সোমবার বিকাল তিনটায় শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সঙ্গে এ নিয়ে মিটিং করবেন। মিটিংয়ে যদি পুনরায় পোষ্য কোটা পুনর্বহাল রাখার কোনও পাঁয়তারা করা হয় এবং আমাদের সঙ্গে বেঈমানি করা হয়, তাহলে আবার অনশনে বসব।”
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, “প্রশাসন আমাদের সঙ্গে নীতিগত জায়গায় একমত হয়েছে। আজ (সোমবার) বিকাল তিনটায় সব পক্ষের সঙ্গে বসে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে। প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছে যৌক্তিক সমাধান করার। বিকাল তিনটার মিটিংয়ে আলোচনার ফলাফল দেখার শর্তে আমরা আমাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছি।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “আমরা নীতিগত জায়গায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একমত। বিকাল তিনটার সভায় এই বিষয়ের সমাধান হবে। এতে শিক্ষার্থীরাও খুশি হবেন বলে আশা করছি।”
এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে ৮ জন শিক্ষার্থী আমৃত্যু অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। এরপরে তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে যোগ দেন আরও ৬ শিক্ষার্থী। এতে মোট ১৪ জন শিক্ষার্থী অনশনে বসেছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/একেএ