আগুন কেবল ঘরই পোড়ায় না, পোড়ায় স্বপ্নও। মহাখালীর সাততলা বস্তির ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সেই কথাই প্রমাণ করলো। মুহূর্তের মধ্যে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া অসংখ্য মানুষের ভিড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী সালমা বেগম। তার চোখে শুধুই অপার শূন্যতা। কারণ, আগুন কেড়ে নিয়েছে তার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন একটি সেলাই মেশিন।
কিন্তু জীবনের গল্প শুধু ধ্বংসের নয়, পুনর্গঠনেরও। গত ১৩ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদের ছবি দেখে বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন জানান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মহোদয়ের পক্ষ থেকে সালমাকে দেওয়া হবে নতুন একটি সেলাই মেশিন।
অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান হলো। সালমার হাতে পৌঁছে গেছে নতুন সেলাই মেশিন। আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় স্বপ্নের নতুন সেলাই মেশিন।
সেলাই মেশিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, কেপিসি ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান কাজী সাজেদুর রহমান, কালের কণ্ঠের প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মহিউদ্দিন রাজীব, কালের কণ্ঠের ফটো সাংবাদিক লুৎফর রহমান।
সেলাই মেশিন হস্তান্তর শেষে মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, "মহাখালী সাততলা বস্তিতে আগুন লেগে বেশ কয়েকটি ঘর পুড়ে যায়। তার মধ্যে সালমা বেগমের ঘর এবং ঘরের সমস্ত জিনিসপত্রও পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তার অবলম্বন হিসেবে কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। এখন তার পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। সালমা বেগমের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বসুন্ধরা শুভসংঘকে অনেক ধন্যবাদ।"
কাজী সাজেদুর রহমান বলেন, "আগুনের লেলিহান শিখা একটি পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। বসুন্ধরা শুভসংঘ সালমা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। শুধু বসুন্ধরা শুভসংঘ নয়, সমাজের প্রতিটি মানুষেরই উচিত এমন বিপর্যস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানো।"
নতুন সেলাই মেশিন পেয়ে সালমা বেগম বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিডি প্রতিদিন/আশিক