ম্যাগনেসিয়ামকে স্ট্রেস ও পেশির আড়ষ্টতা কাটানোর প্রতিষেধক হিসেবে বিবেচনা করা হয়; যা সাউনা এবং আইস-বাথ রুটিনের মতোই কার্যকর। ঘুমের প্রস্তুতির জন্য, ওয়েলনেস ইনফ্লুয়েন্সাররা ম্যাগনেসিয়াম মকটেল তৈরি করেন এবং এটি চুমুক দিয়ে পান করে থাকেন। যেদিকে অনেকে প্রতি রাতে ক্যাপসুল খাওয়ার আগে ঘুমান না। কেউ কেউ তো আবার সন্ধ্যার স্কিন-কেয়ার রুটিনের ধাপ হিসেবে তাদের ত্বকে ম্যাগনেসিয়ামের স্প্রে ছিটিয়ে দেন। ম্যাগনেসিয়ামের বিভিন্ন ব্যবহার ও রূপের মধ্যে, স্প্রে হয়তো সবচেয়ে সহজে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। কিন্তু এর সত্যিই কোনো উপকার আছে কি? ত্বকে ম্যাগনেসিয়াম লাগানোর মূল উদ্দেশ্য আসলে কী?
স্কিন-কেয়ার এক্সপার্ট এবং দ্য থিংস উই ডু-এর প্রতিষ্ঠাতা ভ্যানেসা লি বলেছেন, ‘ম্যাগনেসিয়াম এখন বেশ জনপ্রিয়, যা আমার খুবই ভালো লাগে। কারণ এটি আসলে খুব সাধারণ হলেও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তিনি আরও বলেছেন, ম্যাগনেসিয়াম শরীরের ৩০০ টিরও বেশি এনজাইম্যাটিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, যার মধ্যে রয়েছে প্রোটিন সংশ্লেষণ, পেশি ও স্নায়ু কার্যকারিতা। এটি শক্তি উৎপাদন এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতার জন্যও প্রয়োজনীয়।’ এই স্কিন-কেয়ার এক্সপার্ট আরও বলেছেন, ওরাল ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণের অন্যতম আলোচিত উপকারিতা হলো- এটি ভালো ও গভীর ঘুমে সহায়তা করে, যা আবার স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে সাহায্য করে। তবে আপনি যদি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণে খুব আগ্রহী না হন, তাহলে একটি স্প্রে (যদিও কম কার্যকর) হতে পারে একটি ভালো বিকল্প এবং আপনার স্কিন-কেয়ার রুটিনে দারুণ এক সমাধান।
তথ্যসূত্র : ভোগ ম্যাগাজিন