অ্যাপল আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বড় একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যাচ্ছে। এই অনুষ্ঠানেই কোম্পানিটি নতুন আইফোন ১৭ এবং নতুন অ্যাপল ওয়াচসহ আরও কিছু ডিভাইস ঘোষণা করতে পারে।
২০১২ সাল থেকে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসেই অ্যাপল নতুন আইফোন উন্মোচন করে আসছে। তাই এবারের আয়োজনকেও বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হিসেবে ধরা হচ্ছে।
আইফোন অ্যাপলের সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস। তাই বিনিয়োগকারী ও বাজার–সংশ্লিষ্টদের নজরও এই ঘোষণার দিকে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে অ্যাপল এখনও কতটা উদ্ভাবনী তা বোঝার জন্য সবাই অপেক্ষা করছে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের অনুষ্ঠানে ‘অত্যন্ত পাতলা’ বা সুপার স্লিম আইফোন আসতে পারে। একে বলা হচ্ছে ‘আইফোনের ম্যাকবুক এয়ার’— অর্থাৎ দেখতে অনেক স্মার্ট ও হালকা। তবে এতে ব্যাটারি ও ক্যামেরার মান কিছুটা কমে যেতে পারে। আইফোনের নতুন ডিজাইন বাজারে আবারও গ্রাহকের আগ্রহ বাড়াতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভাঁজ করা যায় এমন (foldable) ফোন বাজারে এলেও আইফোনের বাহ্যিক রূপ খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। ছোট সাইজের আইফোন মিনি এবং বড় সাইজের আইফোন প্লাস তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি। বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৫ সাল থেকে অ্যাপল হয়তো প্লাস মডেলটি সম্পূর্ণভাবে বাদ দেবে।
এবার অ্যাপল শুধু নতুন স্লিম মডেলই নয়, বরং স্ট্যান্ডার্ড আইফোন ১৭ এবং প্রো মডেলও উন্মোচন করতে পারে। স্ট্যান্ডার্ড মডেলে প্রসেসর, ক্যামেরা ও ব্যাটারির কিছু উন্নতি থাকবে। আর প্রো মডেলগুলোতে থাকবে উন্নত ক্যামেরা, বড় স্ক্রিন, আরও শক্তিশালী প্রসেসর এবং টাইটানিয়াম দিয়ে তৈরি বডি।
এদিকে শুল্ক সংক্রান্ত চাপে পড়েছে অ্যাপল। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণায় কোম্পানির শুল্ক বাবদ খরচ বাড়তে পারে প্রায় ১.১ বিলিয়ন ডলার। তবে এ সমস্যা কাটাতে অ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রমুখী বেশিরভাগ আইফোন উৎপাদন ভারতে সরিয়েছে। স্মার্টফোনের ওপর নতুন শুল্ক বাড়লেও এই খাত আপাতত ছাড় পাচ্ছে। এছাড়া অ্যাপল জানিয়েছে, তারা ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে যুক্তরাষ্ট্রে নিজস্ব সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল