চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যর্থতার পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিব্রতকর পরাজয়। দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে বইছে সমালোচনার ঝড়। সাফল্যের ঠিকানা খুঁজে পেতে সমর্থকদের কাছে আবারও সময় চাইলেন বাংলাদেশর প্রধান কোচ ফিল সিমন্স।
গত অক্টোবরে বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর নেতিবাচক ফলই বেশি পেয়েছেন সিমন্স। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর এবার জিম্বাবুয়ের সঙ্গেও ঘরের মাঠে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। মাঝে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অবশ্য দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে একটি টেস্ট জেতে তারা।
ওয়ানডেতেও খুব ভালো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ। ক্যারিবিয়ানদের সঙ্গে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও সিরিজ জিততে পারেনি তারা। গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে বড় আশা নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে গিয়েও মিলেছে একরাশ হতাশা। ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে তেমন লড়াই করতেই পারেনি বাংলাদেশ।
তিন সংস্করণ মিলিয়ে নতুন কোচ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ১৬ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৫টি। একের পর এক ব্যর্থতায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে সমালোচনার ঝড়। দেশের ক্রিকেট বাজারেও লেগেছে এর ধাক্কা। বিনিয়োগ ও বিপণনে আগ্রহ দেখাচ্ছে না কোনও প্রতিষ্ঠান।
ক্রিকেটের বাজার ফেরানো কিংবা সমর্থকদের মুখে হাসি ফেরাতে ভালো করার বিকল্প নেই বাংলাদেশের। সিরিজ বাঁচানোর অভিযানে চট্টগ্রামে সোমবার (২৮ এপ্রিল) থেকে নতুন লড়াইয়ে নামবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ম্যাচের আগের দিন আজ রবিবার সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক ব্যর্থতার প্রসঙ্গে সবাইকে ধৈর্য ধরার কথা বলেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ।
সিমন্স বলেন, অবশ্যই ধৈর্য ধরার কথা বলতে চাই। বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষদের। আমি জানি, তারা খেলাটির প্রতি কতটা আবেগপ্রবণ। নিজেদের দলকে ভালো করতে দেখতে চায়। তাই আমি ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করছি। আমরা ভালো খেলার জন্য ঠিকঠাক সব কাজ করার চেষ্টা করছি।
সিরিজটি শুরুর আগে দেশে টেস্ট সংস্কৃতি গড়ার লক্ষ্যে নতুন কিছু করে দেখানোর কথা বলেছিলেন শান্ত। কিন্তু সিলেট টেস্টের প্রথম দিন থেকে দেখা যায় সেই পুরোনো বাংলাদেশকেই। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানে অলআউট হওয়ার পর সিমন্স বলেছিলেন, নতুনের খোঁজে আর আগের মতো টেস্টে জবুথবু হয়ে থাকবে না দল। নতুন ম্যাচ শুরুর আগেও সেই একই বার্তা দিলেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ