ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান হামলা-পাল্টা হামলার মধ্যে কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার এক টেলিফোন আলাপে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায় ৫০ মিনিট ধরে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। আলাপটি ‘গভীর ও ফলপ্রসূ’ বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের শীর্ষ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ।
ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট পুতিন ইরানের ওপর ইসরায়েলের সামরিক হামলার তীব্র নিন্দা জানান। পাশাপাশি দুই নেতা ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি বলে জানান উশাকভ। এই প্রেক্ষাপটে দুই পরাশক্তির শীর্ষ নেতাদের আলোচনাকে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন।
অন্যদিকে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ফোনে কথা বলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির সঙ্গে। এ সময় লাভরভ জানান, মস্কো ইসরায়েলের হামলার কড়া প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং অঞ্চলটিতে উত্তেজনা কমাতে রাশিয়া প্রস্তুত। তিনি নিহত ইরানিদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেন।
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে এমন কূটনৈতিক যোগাযোগ সংঘাত প্রশমনের সম্ভাবনার জানালা খুলে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরমাণু কর্মসূচি থেকে শুরু করে সামরিক উত্তেজনা—সব ক্ষেত্রেই সমঝোতার প্রয়োজনীয়তা এখন সবচেয়ে বেশি।
রাশিয়া স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে জটিলতা নিরসনে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে প্রস্তুত। আর যুক্তরাষ্ট্রও বলছে, তারা আলোচনার দরজা বন্ধ করে দেয়নি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল