সেপ্টেম্বরে চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে ফুটবলে নতুন মৌসুমের পর্দা উঠতে পারে। এমনই আভাস দিয়েছেন বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি ও পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান। এবার চ্যালেঞ্জ কাপে লিগ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান ও রানার্সআপ আবাহনী লড়বে। নতুন মৌসুমে ফিরছে জনপ্রিয় সুপার কাপ। এ ছাড়া লিগ, ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপ রয়েছে। গত মৌসুমে সময়ের স্বল্পতার কারণে স্বাধীনতা কাপ মাঠে গড়াতে পারেনি। সব মিলিয়ে নতুন মৌসুমে পাঁচ আসরের দেখা মিলবে। ইমরুল হাসান পেশাদার লিগ কমিটি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই আসরকে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করছেন। গেলবার লিগের ফিকশ্চারে নতুনত্ব এনেছিলেন। ইন্টারন্যাশনাল উইন্ডোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে দল বদল হচ্ছে। এতে ক্লাবগুলো মানসম্পন্ন বিদেশি খেলোয়াড় সংগ্রহ করতে পারছে।
২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশে পেশাদার লিগের যাত্রা। শুরু থেকে দুই লেগের পদ্ধতিতে দেশের ফুটবলে সবচেয়ে মর্যাদাকর এ আসর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যারা চ্যাম্পিয়ন হয় তারাই দেশ সেরার খেতাব পেয়ে থাকে। এত বড় আসরের একঘেয়েমি দূর করতে এবার নতুন ফরম্যাটে লিগ মাঠে নামানোর চিন্তাভাবনা করছে। ইমরুল হাসান বলেন, ‘লিগ জমাতে নতুনত্ব আনাটা জরুরি। আগের মতো লিগ দুই লেগে থাকছে। তবে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা চার দলকে নিয়ে সুপার ফোর করা যায় কি না তা নিয়ে ভাবছি। চার দল আবার ডাবল রাউন্ড খেলবে। এখানে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ের ব্যাপার রয়েছে। পুরো লেগের পয়েন্টও এখানে ধরা হবে।’
ইমরুল বলেন, ‘সবকিছু চূড়ান্ত হবে ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই। লিগ কমিটি নিজের থেকে সিদ্ধান্ত নেবে না। এখানে সবারই মতামত নেওয়াটা খুবই জরুরি। কাউকে অখুশি করে তো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। বিষয়টি নিয়ে বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে আলাপ করব। চূড়ান্ত রায় পেলে ফরম্যাট বদলাবে না হয় আগের মতো থাকবে। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, লিগে নতুনত্ব আনা দরকার। শুধু শীর্ষ চার নয়, নিচের সারির চার দলকে নিয়েও ডাবল লিগ করার চিন্তা রয়েছে। এতে রেলিগেশনে পাতানো ম্যাচ রোধ করা যাবে।’
সুপার কাপে গেল লিগের শীর্ষ চার বা পাঁচ দল অংশ নিতে পারে। দল যেহেতু অল্প তাই ডাবল লিগ পদ্ধতিতে হতে পারে। দুই শীর্ষ ক্লাব খেলবে ফাইনালে। এক সময়ে ফেডারেশন কাপে দুবার ফাইনাল হতো। সুপার কাপে তা করা যায় কি না ভেবে দেখব। আসলে সবকিছু নির্ভর করছে ক্লাবগুলোর অনুমতির ওপর।’