ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বুশেহার প্রদেশের কাঙ্গান বন্দরে ইসরায়েলের চালানো এক হামলার পর বড় ধরনের আগুনের ঘটনা ঘটেছে। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আগুনে কাঙ্গান বন্দরে ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠে আসছে।
এই কাঙ্গান বন্দরটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র ‘সাউথ পার্স’-এর খুব কাছেই অবস্থিত। হামলাটি ঠিক কখন ঘটেছে তা স্পষ্টভাবে জানানো না হলেও ধারণা করা হচ্ছে, এটি সম্প্রতি চালানো ইসরায়েলি –সিরিজ হামলার অংশ।
ইরান বা আন্তর্জাতিক কোনো সূত্র থেকে এখন পর্যন্ত হামলায় সুনির্দিষ্ট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানানো হয়নি। তবে ভিডিও ফুটেজে যেভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে, তা থেকে বোঝা যায়, গ্যাস ফিল্ডের অবকাঠামোতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে ইসরায়েলের এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনাকে এক নতুন স্তরে নিয়ে যেতে পারে। এ ধরনের হামলা শুধু দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ নয়, বরং আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে, যার ফলে তেলের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইরান ইতিপূর্বে একাধিকবার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রে আঘাত এলে তারা ‘সমপর্যায়ের’ জবাব দেবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের নিজস্ব জ্বালানি খাত—তেল ও গ্যাসক্ষেত্রগুলো ইরানের পাল্টা হামলার সম্ভাব্য লক্ষ্য হতে পারে।
এ ছাড়া ইরান ইসরায়েলের অর্থনৈতিক অবকাঠামো বা বাণিজ্যিক সম্পদের ওপর আঘাত হানার রাস্তাও বেছে নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে আরও ঘনত্ব যোগ করল। এখন চোখ বিশ্ববাজার ও কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে—ইরান কীভাবে জবাব দেয় এবং এই উত্তেজনা কতদূর গড়ায়, তার ওপরই নির্ভর করছে পরবর্তী সময়ের দৃশ্যপট।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল