সাভারে যৌতুকের টাকা না পেয়ে পুত্রবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে সাভার উপজেলাধীন তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের তেঁতুলঝোড়া এলাকার একটি দোতলা ভবনের কক্ষ থেকে লতা বেগম (২০) নামের এক নারীর ক্ষতবিক্ষত লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে সেলিম নামের এক যুবকের সঙ্গে লতার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা সোলেমান মিয়ার দোতলা বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন। লতার বাবা-মা ও সেলিমের বাবা-মাও একই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। বিয়ের পর থেকেই স্বামী সেলিম ও শ্বশুর মাসুদ মিয়া কয়েক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য লতার ওপর চাপ দিচ্ছিলেন।
নিহতের বাবা আব্দুস সালামের অভিযোগ, ২ লাখ যৌতুকের টাকা না পেয়ে রাতে তার মেয়েকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, চারজন মিলে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকে লতার স্বামী সেলিম মিয়া পলাতক রয়েছেন।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্ত শ্বশুর মাসুদ মিয়াকে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাসুদ মিয়াকে উদ্ধার করে থানায় নেয়।
সাভার মডেল থানার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সবুজ সিকদার বলেন, লতার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পলাতক সেলিমসহ জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাভার মডেল থানার একটি গণধর্ষণের পর হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল