ভারতের চোখে চোখ রেখে প্রথমার্ধ শেষ করেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরুর দিকে ভারতকে বেশ চাপে রেখেছিল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। শেষ দিকে লড়াই জমিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে ভারতও। তবুও দুই দলই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় গোলশূন্য থেকেই বিরতিতে গেছে দুই দল।
শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই রাকিব-শাহরিয়ার ইমন-মজিবর রহমান জনিরা সুযোগ পেয়ে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। ভারতের গোলরক্ষক বিশাল কাইতের ভুলে একাধিক সুযোগও আসে। কিন্তু ভারতের জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, কয়েক দফার চেষ্টা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ভারত।
কিক অফের ১৫ সেকেন্ড পরেই দারুণ এক সুযোগ পেয়ে অবিশ্বাস্যভাবে তা নষ্ট করেন জনি। শাহরিয়ার ইমন কিক অফের শট নিলেন বল যায় হামজার উদ্দেশ্যে। তিনি বল রিসিভ করেই লং পাস বাড়ালেন বাঁ দিকে। জনি যদিও প্রস্তুত ছিলেন না। প্রায় বাই লাইনে ছুটে গিয়ে গোলকিপার ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। ফাঁকায় বল পেয়ে বল বাইরে মারেন জনি।
৯ মিনিটে শাকিল আহাদ তপুর ক্রসে পেয়ে শাহরিয়ার ইমন মাথা ছোঁয়ালেও লাভ হয়নি । ১২ মিনিটে বাংলাদেশের সামনে আবারও সুযোগ আসে। গোলকিপার বিশাল কাইত ঠিকমতো গোলকিক নিতে পারেননি। সামনে থাকা শাকিলের পিঠে লেগে চলে যায় বক্সের ভেতরে থাকা হৃদয়ের পায়ে। এই মিডফিল্ডার তড়িঘড়ি করে লক্ষ্যে দুর্বল শট নিলেও গোল হতে দেননি ভারতের শুভাশিষ বোস।
২১ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন এই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা তপু বর্মণ। তার বদলে মাঠে নামেন রহমত মিয়া।
৩০তম মিনিটে প্রায় গোল পেয়েই যাচ্ছিল ভারত। কোলাসোর ক্রসে উদান্তা সিংয়ের হেড গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন শাকিল। ফিরতি বলে ফারুক চৌধুরীর দুর্বল শট তালুবন্দি করেন মিতুল।
৪১তম মিনিটে সবচেয়ে বড় সুযোগ নষ্ট করেন বাংলাদেশের জনি। মাঝ মাঠ থেকে শাহরিয়ার ইমনের হেড পাস থেকে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন জনি। সামনে থাকা ভারতীয় গোলরক্ষকের সামনে বল কিক নিতে পারেননি তিনি।
বিডি প্রতিদিন/কেএ