মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর মান্দালয়ে অবস্থিত উদ্ধারকারী দলের একজন সদস্য বিবিসিকে বলেছেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। মৃত্যুর সংখ্যাও বহু। উদ্ধার প্রচেষ্টা চলমান থাকায় আমরা এখন এটুকুই বলতে পারি। নিহতের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি, তবে শত শত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ভূমিকম্পে ভবন ধসে ৭০ শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। পরে ১টা ২ মিনিটের দিকে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার একটি আফটারশক আঘাত হানে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইং শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এবং ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
এক সরকারি বিবৃতিতে মিয়ানমার সরকার ভূমিকম্পের পর ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। এছাড়া ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা।
অন্যদিকে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতের পর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যাংককে মেট্রো ও রেল পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। থাই প্রধানমন্ত্রী পেতাংতার্ন সিনাওয়াত্রা জানিয়েছেন, মিয়ানমারকে কেন্দ্র করে একটি বড় ভূমিকম্পে ব্যাংকক শহরে আঘাত হানার পর শুক্রবার থাই কর্তৃপক্ষ ব্যাংককে জরুরি অবস্থা।
থাইল্যান্ডের জাতীয় জরুরি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ধসে পড়া ভবনের স্থানে ৭০ জন নির্মাণ শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। আগে ৪৩ জন নিখোঁজ থাকার খবর জানিয়েছিল তারা।
ফেসবুকে একটি পোস্টে, তারা আরও জানিয়েছে যে, ধসের সময় ঘটনাস্থলে প্রায় ৩২০ জন শ্রমিক ছিলেন এবং ২০ জন লিফটের খাদে আটকা পড়েছেন।
মৃতের সংখ্যা স্পষ্ট নয় এবং উদ্ধারকারীরা জীবিতদের সন্ধানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে ঘটনাস্থলে একটি ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে।
চীনের ইউনান প্রদেশেও শক্তিশালী ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে। ভারতের কলকাতা ও মণিপুরের কিছু অংশ থেকেও ভূমিকম্পের খবর মিলেছে। এছাড়া, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ কয়েকটি জায়গায় কম্পন অনুভূত হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ