হামজা দেওয়ান চৌধুরী লিস্টার সিটির শীর্ষ সারির একজন ফুটবলার। আয়ের দিক দিয়ে ২২ জনের মধ্যে তিনি অষ্টমে আছেন। সপ্তাহে ৫০ হাজার পাউন্ড বেতন পান। বাংলাদেশি টাকায় হিসাব করলে সপ্তাহে আয় ৮০ লাখ টাকারও বেশি। বাংলাদেশে এসে অর্থকড়ি খুব একটা পাবেন না হামজা। তবে তিনি এখানে অর্থের জন্য নয়, খেলতে আসেন ভালোবাসার জন্য। দেশের জার্সি গায়ে ফুটবল খেলে গৌরব বয়ে আনার জন্য।
রবি আজিয়াটা পিএলসি গতকাল হামজা চৌধুরীকে নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে, এক বছরের জন্য তাদের শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন হামজা। এ সময় লিস্টার সিটির জার্সিতে খেলা এ তারকা ফুটবলার বলেন, ‘রবির সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি আনন্দিত। আশা করি, বাংলাদেশের যুবসমাজকে অনুপ্রাণিত করতে পারব এবং দেশের ফুটবলের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি আরও উন্নত করতে সাহায্য করতে পারব।’ এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে হামজা বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের হয়ে কয়েক মাস হলো খেলছি। এটা অবাস্তব বলে মনে হয় এখনো। আমি এ দেশের অংশ হয়ে গর্ব করতে চাই। আমার বাবা-মাকেও গর্বিত করতে চাই।’ বাবার মুখে গর্বের হাসি দেখতে পাওয়াটাই হবে হামজার অনেক বড় পাওয়া। বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় মুগ্ধ হামজা। তিনি এখানে এলেই সেই ভালোবাসা উপভোগ করেন। হামজা বলেন, ‘আমি যে ভালোবাসা পাই, সেটা ভালোভাবে ধরে রাখার চেষ্টা করি।’ এমনকি হামজার সন্তানরাও বাংলাদেশের ভালোবাসায় মুগ্ধ। তারাও বারবার ফিরতে চায় সোনার বাংলাদেশে। হামজা বলেন, ‘যখনই আমি বাংলাদেশ ছাড়ি, আমার সন্তানরা বলে, ওরা বাংলাদেশে ফিরতে চায়। ইনশাআল্লাহ, ওরা আগামী মার্চে আবার ফিরে আসবে।’
নেপালের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ এবং ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে ঢাকায় এসেছেন হামজা। ভারত ম্যাচের সব টিকিটই বিক্রি হয়ে গেছে। ভারত ম্যাচে বাংলাদেশের মানুষটি জয় উপহার দেওয়ার ইচ্ছে গতকালও ব্যক্ত করেছেন হামজা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ, আমরা ভারতের বিপক্ষে জিতব।’ গতকাল থেকে বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনায় অনুশীলন শুরু করেছেন হামজা। এবার পুরোদমে শুরু হয়ে গেল ভারতের ম্যাচের প্রস্তুতি।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জিয়াদ সাতারা, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমাদ এবং চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অফিসার শাহেদ আলম।