কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশ প্রশাসন নির্যাতন করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় নেতারা। তাঁদের দাবি, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের নির্দেশে পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, থানায় নিয়ে নির্যাতন করছে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মোল্লা মজিবুল হক।
মজিবুল হক অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন এনসিপিতে যোগ দিয়েছে। আর উপদেষ্টা আসিফের সঙ্গে মিশে পুলিশের সহযোগিতায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর আগের মতো জুলুম-নির্যাতন শুরু করেছ।’
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর শেখ হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে সারা দেশের মতো মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরাও জীবন বাজি রেখে রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শত জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেও রাজপথ ছাড়িনি। তবে রাজপথের আন্দোলন এবং সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হলেও আমরা মুরাদনগরবাসী আজও ফ্যাসিবাদের রোষানলে পড়ে রয়েছি।’
মজিবুল হক দাবি করেন, ‘শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কমিটি ঘোষণা করা হয়। সে কমিটিতে মুরাদনগরের কোম্পানিগঞ্জে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে আসিফ মাহমুদের আপন চাচাতো ভাইকে আহ্বায়ক করে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকে দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়।’
মোল্লা মজিবুল হক বলেন, ‘উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদের মতো ক্ষমতার অপব্যবহার করে কুমিল্লার এসপি পরিবর্তন করে তাঁর মদদপুষ্ট এসপি নিয়োগ দেন। নতুন এসপি এসেই মুরাদনগর ও বাঙ্গুরা থানার ওসি পরিবর্তন করেন। মুরাদনগরের বর্তমান ওসি ঢাকায় ডিবিতে কর্মরত ছিলেন এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের নির্যাতন করেছেন। বিশেষ করে বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করছেন।’