বাংলাদেশের মানবাধিকার সুরক্ষা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে ২৫ মিলিয়ন ডেনিশ ক্রোন (প্রায় ৪০ কোটি টাকা) সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে ডেনমার্ক।
সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকার ডেনমার্ক দূতাবাস ফেসবুক পেইজে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।
দূতাবাস জানায়, এই কনসোর্টিয়াম স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে কাজ করবে।
বাংলাদেশে ডেনিশ রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার বলেছেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে নাগরিক সমাজকে শক্তিশালী করার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দায়মুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একটি অনন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এই নতুন উদ্যোগ বাংলাদেশের জনগণের জন্য ন্যায়বিচার ও গণতান্ত্রিক সংস্কার এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে, কারণ এই তিনটি সংস্থা নাগরিক সমাজকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রচারে সহায়তা করার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রাখে।
কনসোর্টিয়ামের তিনটি সংস্থাই এমন দেশে কাজের অভিজ্ঞতা রাখে, যেখানে দমনমূলক শাসন ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রক্রিয়া একসঙ্গে বিদ্যমান এবং যেখানে নাগরিক সমাজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডিগনিটি-এর সিইও রাসমুস গ্রু ক্রিস্টেনসেন বলেন, একটি শক্তিশালী নাগরিক সমাজ মানবাধিকার অগ্রগতি, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা এবং নির্যাতন ও সহিংসতার শিকারদের পুনর্বাসনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিগনিটি বাংলাদেশের স্থানীয় অংশীদারদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ ও সহায়তার মাধ্যমে সারভাইভার-কেন্দ্রিক সেবা প্রদানে সহায়তা করতে আগ্রহী।
আইএমএসের নির্বাহী পরিচালক জেসপার হোইবেরগ বলেন, আমরা জানি, অর্থবহ পরিবর্তন কেবল প্রকৃত অংশীদারিত্বের মাধ্যমেই সম্ভব। স্থানীয় সংস্থা, নাগরিক সমাজ ও সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের গণমাধ্যম খাতের ভিত্তি শক্তিশালী করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য হলো এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে প্রত্যেকে বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন তথ্য পেতে পারে, সাংবাদিকরা সুরক্ষিত থাকে এবং বিভিন্ন মতের কণ্ঠস্বর শোনা যায়।
ড্যানিশ ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান রাইটস বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সংস্কার ও শক্তিশালীকরণের ওপর বিশেষভাবে কাজ করবে। সংস্থাটির আন্তর্জাতিক পরিচালক মেটে থাইগেসেন বলেন, আমরা দেখি, এখন বাংলাদেশের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও নাগরিক সম্পৃক্ততার এক বিশেষ সুযোগ তৈরি হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কার্যকর ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা নাগরিক সমাজ ও তরুণদের সঙ্গে কাজ করে মানবাধিকার দাবি ও সংস্কারের রূপরেখা তৈরিতে সহায়তা করব।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত