গণহত্যাকারী হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও দলটিকে নিষিদ্ধের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ এখনো চলছে। শুক্রবার সকালেও (এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) তারা বিক্ষোভ করছেন। এতে ক্রমেই নতুন করে যোগ দিচ্ছেন অনেকেই। যোগ দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের পাশাপাশি অন্যান্য কয়েকটি দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরাও। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কিছুক্ষণ পরপর স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।
বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে যান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। রাত দুইটার কিছুক্ষণ আগে যমুনার সামনে মাইকে স্লোগান ধরেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ সময় যমুনার আশপাশ স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে। কখনো স্লোগান ওঠে, ‘ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগকে ব্যান করো’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’ এবং ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’।
এসময় নাহিদ ইসলাম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা।
তিনি বলেন, আমরা সরকারের বাইরে এবং ভেতরে সেই দাবি বলেছি। কিন্তু আজকে নয় মাস পরেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের জন্য আমাদের আবার রাজপথে নামতে হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় যমুনার সামনে উপস্থিত হন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিল নিয়ে সেখানে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা।
রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ রাজধানীর বাংলামোটর থেকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম সমম্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
এ কর্মসূচিতে এনসিপির পাশাপাশি যোগ দিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির, জুলাই ঐক্য, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থী, ইনকিলাব মঞ্চসহ ছাত্র পক্ষের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হচ্ছেন। ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে আন্দোলনরতদের সারি।
এর আগে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করার ঘোষণা দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত রাত ১০টা থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
এনসিপির পাশাপাশি এ অবস্থান কর্মসূচিতে বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও অংশ নিয়েছেন। রাত একটার পর হেফাজতে ইসলামের বেশ কিছু নেতা-কর্মী যমুনার সামনে যান। রাত দেড়টার দিকে এবি পার্টির কিছু নেতা-কর্মী যমুনার সামনে উপস্থিত হন। ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা রাত দুইটার দিকে সেখানে যান।
- অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ
- আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান
বিডি প্রতিদিন/নাজিম