ভারতের মুম্বাই শহরে চিত্র পরিচালক রোহিত আর্য্যর স্টুডিওতে জিম্মি করে রাখা ১৭ শিশুসহ ১৯ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অডিশন নেওয়ার কথা বলে তাদের জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। উদ্ধারের সময় পুলিশের গুলিতে রোহিত আর্য্য নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, উদ্ধার অভিযানের সময় অভিযুক্ত জিম্মিকারী গুলিবিদ্ধ হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মুম্বাইয়ের পোয়াই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রোহিত আর্য্য। তিনি জিম্মি নাটকের সময় এক ঘণ্টার একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। তিনি এয়ারগান দিয়ে শিশুদের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি চালায়। পরে তিনি হাসপাতালে মারা যান। তবে অন্য একটি সূত্র জানায়, স্টুডিওর পেছনে শৌচালয়ের পথ দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে মুম্বাই পুলিশ। তখন অভিযুক্ত রোহিত পুলিশের দিকে গুলি ছোড়ে। এর পরেই পাল্টা গুলিবর্ষণ করে পুলিশ। তখন গুলিবিদ্ধ হন অভিযুক্ত। এ ঘটনায় স্টুডিওর ভিতরে উপস্থিত একজন প্রবীণ মহিলা এবং একজন মেয়েও জখম হয়েপ্রণ। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মুম্বাই পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (আইন ও শৃঙ্খলা) সত্যনারায়ণ বলেন, ‘সব শিশু নিরাপদে আছে।’ তার মতে, সম্ভবত আর্য্য ১৫ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের একটি ওয়েব সিরিজের অডিশনের জন্য ডেকেছিলেন। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার দত্ত নলাওয়াদে বলেন, বেলা পৌনে ২টার দিকে পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে। বলা হয়, মহাবীর ক্ল্যাসিক ভবনের আরএ স্টুডিওর ভিতরে এক ব্যক্তি শিশুদের জিম্মি করে রেখেছেন। খবর পেয়ে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। জানা গেছে, রোহিত আর্য্য মূলত সরকারের এক প্রকল্পের আর্থিক হিসাবের আলোচনা করার জন্য প্রশাসনকে চাপ দিতেই শিশুদের জিম্মি করেছিলেন।
