দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে আরও ৩৫২ জন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৬ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪৩ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) আটজন ও রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৪ জন রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৫১৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪২৯ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ ও ৪০ দশমিক ৮ শতাংশ নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরে ডেঙ্গুজ্বরে ৩১ জন মারা গেছেন। ঢাকার বাইরে বরগুনায় ডেঙ্গুজ্বর ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বরগুনা প্রতিনিধি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রোগী বাড়তে শুরু করায় সেবা নিশ্চিত করতে ১৫ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশে ১০ জন মেডিকেল অফিসার এবং ১০ জন নার্স জরুরি ভিত্তিতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু যোগদানের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও পাঁচজন চিকিৎসক এবং পাঁচজন নার্স গতকাল পর্যন্ত যোগদান করেননি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা উপেক্ষা করে যোগদান না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম। গতকাল জেলার বামনা হাসপাতালে পাঁচজন এবং বরগুনা ২৫০ শয?্যা হাসপাতালে ৫১ জন ভর্তি হয়েছেন ডেঙ্গু রোগী। গত ২০ জুন রাত ৮টায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের উত্তর মনসাতলী গ্রামে আ. রব (৭০) নামের অবসরপ্রাপ্ত একজন মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়। হাসপাতালের বাইরে কোনো ডেঙ্গু আক্রান্ত বা মৃত ব্যক্তির তালিকা স্বাস্থ্য বিভাগ সংরক্ষণ না করায় সরকারি হিসাবের সঙ্গে বেসরকারি হিসাবের পার্থক্য থেকেই যাচ্ছে।